• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জীবন ধারা

ফাঙ্গাস থেকে দূরে থাকুন

  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৮

ছোট্ট সামান্য ফুসকুড়ি দিয়ে শুরু, তারপর লাল হয়ে সেটা ছড়াতে থাকে। মাঝে মাঝে পায়ের তালুতেও এ ধরনের ইনফেকশন দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে পায়ের তালুর চামড়া ধূসর হয়ে একসময় তা মরা চামড়ায় পরিণত হয়। এভাবে ত্বকের আবরণ ভেঙে যাওয়ায় সেখানে জীবাণু সংক্রমণ ঘটতে পারে। ফাঙ্গাসের একটা সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে— শরীরে চুলকানির উদ্রেক হওয়া। সর্বসাধারণের কাছে এই ফাঙ্গাস ‘দাদ’ বলে পরিচিত। এই উপসর্গ শরীরের যেকোনো স্থানে দেখা দিতে পারে। যারা সিনথেটিক ও টাইট অন্তর্বাস পরেন, গরম ও বর্ষার সময় তাদের ক্ষেত্রে কুঁচকিতে ফাঙ্গাস ইনফেকশন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা।

বর্ষায় ফাঙ্গাস ইনফেকশন সাধারণত শুরু হয় পায়ের আঙুল থেকে। নখেও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ঘটে। একবার পায়ে যদি ফাঙ্গাস ধরা পড়ে তবে বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকলে সেটা নখেও ছড়িয়ে যায়। এক পা থেকে অন্য পায়ে, পা থেকে হাতে, এক হাত থেকে অন্য হাতে এভাবে সারা শরীরে সেটা ছড়িয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত স্থানে চুলকানির উদ্রেককারী ছোট্ট দানার মতো দেখা যায়। ঘা চুলকানোর পর সেখান থেকে একধরনের কষ ঝরে। এ ছাড়া গোলাকার আংটির মতো আকৃতির একধরনের ফাঙ্গাস রয়েছে। বর্তমানে ফাঙ্গাসের অনেক কার্যকর ওষুধ এসেছে বাজারে। এগুলো সেবনে শারীরিক প্রতিক্রিয়া খুবই কম। প্রতিদিন খেতেও হয় না। তবে ওষুধ সেবনের আগে লিভারের কোনো ত্রুটি আছে কি না তা পরখ করে নিতে হবে।

সংক্রমণের ব্যাপ্তি ও ধরনের ওপর নির্ভর করে ফাঙ্গাসের চিকিৎসাপদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন। সঠিক চিকিৎসায় যেকোনো ফাঙ্গাসই সারিয়ে তোলা সম্ভব। অনেকেই ফাঙ্গাসকে খুব সহজ ব্যাপার মনে করে ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতার কথায় ওষুধ খেয়ে থাকেন। এতে বিপদ হতে পারে। ফাঙ্গাস নিরাময়ে ওষুধ প্রয়োগের আগে ফাঙ্গাসের ধরন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ফাঙ্গাস প্রতিরোধে— ফাঙ্গাস এড়াতে হলে শরীর শুষ্ক রাখতে হবে। প্রতিদিন পা, আঙুলের ফাঁক, নখের গোড়া ভালো করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখুন। ধোয়ার পর শুষ্ক টাওয়েল দিয়ে ভেজা স্থান মুছে শুষ্ক করে ফেলুন। বৃষ্টির দিনে নখ কেটে ছোট করতে হবে। তা না হলে নখের গোড়া বরাবর ভিজে ফাঙ্গাস সংক্রমণ হতে পারে। ভেজা ভাব কিংবা ডাম্প কাপড় পরবেন না। বৃষ্টির দিনে খোলা স্যান্ডেল বা স্যান্ডেল শু পরাই ভালো। প্লাস্টিকের স্যান্ডেল পায়ে বৃষ্টির পথ মাড়িয়ে ঘরে ফেরার পর পা ও স্যান্ডেল উভয়ই ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। শরীরের কোথাও ফাঙ্গাস সংক্রমণ ঘটলে তা পারতপক্ষে না চুলকানোই ভালো।- ফয়জুন্নেসা মণি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads