• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কেনাকাটায় সেরা ক্রেডিট নাকি ডেবিট কার্ড

অনলাইনে কেনাকাটায় অনেকেই কার্ড ব্যবহার করেন

সংরক্ষিত ছবি

জীবন ধারা

কেনাকাটায় সেরা ক্রেডিট নাকি ডেবিট কার্ড

  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৮

ফারজানা ইয়াসমিন

অনলাইনে কেনাকাটায় অনেকেই কার্ড ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে ডেবিট কার্ড নাকি ক্রেডিট কার্ড সেরা- এ বিতর্কের শেষ নেই। এ দুই কার্ড ব্যবহারে কেউ কেউ দ্বিধায় পড়েন। এখন জেনে নিন উভয় কার্ডের কিছু সুবিধা অসুবিধার কথা। এতে আপনার জন্য সঠিক কার্ড বেছে নেওয়া সহজ হবে।

ডেবিট কার্ডের সুবিধা : ডেবিট কার্ড কারেন্ট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই কার্ডের সুবিধা হলো- এটি ব্যবহার করলে কোনো বার্ষিক ফি পরিশোধের ঝামেলায় যেতে হবে না। ডেবিট কার্ড খরচগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, অতিরিক্ত খরচের সুযোগ দেয় না- যদি কারেন্ট অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ না থাকে। তবে কিছু ব্যাংক বিশেষ পরিস্থিতির অধীনে একটি ওভারড্রাফট লিমিটের অনুমতি দেয়। এক্ষেত্রে চার্জ প্রদান করতে হবে। ব্যালেন্স অ্যামাউন্ট বহন করতে হয় না বলে ডেবিট কার্ডে কেনাকাটার ওপর কোনো সুদ পরিশোধ করতে হয় না।

ডেবিট কার্ডে চুরির সম্ভাব্যতা খুব সীমিত। অধিকাংশ কার্ডে অর্থের পরিমাণের ওপর একটি সীমা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়াও কার্ডের পিন একটি ডেবিট কার্ডের সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ায়।

অসুবিধা : ডেবিট কার্ডের অসুবিধা হলো- লেনদেনে অর্জিত রিওয়ার্ড পয়েন্ট সুবিধাগুলো ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় অনেক কম হয়। বেশিরভাগ ডেবিট কার্ড দৈনিক লেনদেনের জন্য কোনো ধরনের রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রদান করে না। যদি আপনার ক্রেডিট হিস্ট্রি যতটুকু কাম্য তার চেয়ে কম হয়, তবে ডেবিট কার্ডে অর্থ খরচ করে ভালো ক্রেডিট স্কোর গড়ে তোলা যায় না। লোন আবেদনে একটি খারাপ ক্রেডিট স্কোর সমস্যার উদ্ভব ঘটায়।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা : কোনো জিনিস কিনতে গিয়ে নিজের ব্যালেন্সের চেয়েও বেশি টাকার প্রয়োজন হলে কারো কাছ থেকে ধার না করেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্যটি কিনে কয়েক মাস ধরে মূল্য পরিশোধ করা যায়। এতে ঋণের বোঝা খুব বেশি মনে হয় না। তবে সময়সীমা অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ না করলে জরিমানা গুনতে হতে পারে।

বলা হয়, ডেবিট কার্ড ও চেক ব্যবহারের চেয়ে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি নিরাপদ। যদি কারো ক্রেডিট কার্ড চুরি হয়ে যায় এবং কেউ টাকা তুলে নেয়, সেক্ষেত্রে অভিযোগ করলে কার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান পুরো অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকে। যথাযথ প্রমাণ দিয়ে দ্রুত অর্থ ফেরত পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কার্ডের পিন নম্বরটি মনে রাখতে হবে। নম্বরটি লিখে নিজের কাছে কখনো রাখা যাবে না।

কিছু ক্রেডিট কার্ড, বিশেষ করে বিদেশে শূন্য শতাংশ সুদে ঋণ দেয়- যা বেশ সুবিধাজনক। ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন অফারও থাকে। যেমন- ‘ক্যাশ ব্যাক অফার’, ‘স্পেশাল ডিসকাউন্ট’। দেশের বাইরে বেড়াতে গেলে, হোটেলে, কিংবা প্লেনের টিকেট কাটতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারে অনেক সময়েই মূল্যছাড় দেওয়া হয়।

অসুবিধা : ক্রেডিট কার্ড সবসময়েই একটি ঋণ নেওয়ার মাধ্যম। আপনি এখন কিনছেন, পরে অর্থ পরিশোধ করতেই হবে। সময়মতো পরিশোধ না করলে ঋণ বাড়তেই থাকবে। সুদের হার পরিশোধই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের একমাত্র ব্যয় নয়। সময়মতো মাসিক মূল্য পরিশোধ না করলেও জরিমানা গুনতে হতে পারে। ক্রেডিটে ব্যবহারের যে সীমা থাকে, সেটা অতিক্রম করলেও একটা নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করতে হয়। সময়জ্ঞান না থাকলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশ বিপজ্জনক।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads