• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বিরক্তিকর মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য

বিরক্তিকর মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য

প্রতীকী ছবি

জীবন ধারা

বিরক্তিকর মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য

  • প্রকাশিত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সবাই চায় আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মানুষ হতে এবং প্রত্যেকেরই আকর্ষণীয় হওয়ার যোগ্যতা বা গুণ আছে। কিন্তু ইচ্ছে করে বা অজ্ঞাতসারে অনেকে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে বা বিরক্তিকর থেকে যায়। আপনি যদি সে ধরনের মানুষ হতে না চান, তাহলে নিচের লক্ষণগুলো থেকে জেনে নিন কোন অভ্যাসের কারণে একজন মানুষ খুবই বিরক্তিকর হিসেবে গণ্য হয়। সেগুলো মাথায় রাখতে পারেন যারা বিরক্তিকর মানুষ হতে না চান বা তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে চান। বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে লিখেছেন এস এম আতিয়া

নিজে সবসময় বিরক্ত থাকেন

নেলাক্যানভিচ নামে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমি সেসব লোকের কথায় বিরক্ত, যারা কথায় কথায় বলেন তাদের কিছু ভালো লাগে না, সবসময় কেমন জানি উদাস উদাস লাগে।’

সবসময় যদি আপনি ভেবে থাকেন আপনার কিছুই ভালো লাগছে না, সবকিছু কেমন বিরক্তিকর তাহলে উদাসীনদের দলে আপনাকে স্বাগতম। যা কিছু ভালো লাগে, সেই জিনিস নিয়ে আপনার মনের আনন্দ প্রকাশ করুন। সবাইকে দেখিয়ে দিন যে আপনি বিরক্তিকর নয়। আপনার ইচ্ছাই আপনাকে উদাসীনতা থেকে মুক্ত করবে।

অন্যজন কী ভাববে তার দিকে খেয়াল করেন না

ড্রিউ অস্টিন নামে একজন মনোবিদ জানান, বিরক্তিকর ব্যক্তিরা কখনোই কোনো কথোপকথনে বিপরীত পাশের ব্যক্তিটির কথা চিন্তা করেন না। অর্থাৎ অন্যরা কী ভাবতে পারেন, তাদের মনোভাব কী— সেটা নিয়ে ভাবেন না।

তিনি আরো বলেন, একজন ব্যক্তি যখন অন্য আরেকজনের অবস্থান বা পরিস্থিতি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে পারবেন, তখনই তিনি আকর্ষণীয় ও আলাপযোগ্য ব্যক্তি হয়ে উঠবেন।

 

আলাপে তারা অপরকে যুক্ত করতে চান না

কোনো ব্যক্তি তখনই বিরক্তিকর হয়ে ওঠেন, যখন তিনি তার কথোপকথনে অন্য কাউকে যোগ করেন না। আর সেটি উপলব্ধি করা যায় তখনই, যখন সেই বিরক্তিকর ব্যক্তিটি শুধু তার নিজের বক্তব্যকে অতিমাত্রায় ব্যাখ্যা করতে চান। হোক সেটা প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয়।

যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে আপনার কথোপকথন থেকে কেউ নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন বা আপনার সঙ্গে বেশিক্ষণ আলাপ করতে চান না, তাহলে বুঝতে হবে আপনি একজন বিরক্তিকর মানুষ।

 

একই কথার পুনরাবৃত্তি 

বিরক্তিকর মানুষ বার বার একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বিরক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেন।

 

নিজেদের ইতিবাচক পরিবর্তন চান না

বিরক্তিকর মানুষের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে তাদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে তারা আন্তরিক ও আগ্রহী নন। তারা হয়তো মনে করেন সব শিখে ফেলেছেন, সব অর্জন হয়ে গেছে। এজন্য নতুন কিছু শেখার তাড়না বা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। অথচ ইতিবাচক ও আকর্ষণীয় মানুষ নতুন নতুন জিনিস শেখে, নিজের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন।

 

একঘেয়েমি কথাবার্তা

বিরক্তিকর মানুষ যেহেতু কী বলবে বা কী করবে সে বিষয়ে সচেতন নয়, সেজন্য তারা যখন কথা বলে বেশিরভাগই বিরক্তিকর ও একঘেয়েমিপূর্ণ। তাদের হাসি-তামাশা দুঃখজনক আবার তাদের গম্ভীরতা হাস্যকর।

 

সবসময় নেতিবাচক থাকেন

যেসব ব্যক্তি সবসময় নেতিবাচক ও হতাশাপূর্ণ, তারা বিরক্তিকর। ড্রিউ অস্টিন নেতিবাচকতাকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন।

১. ভিকটিম মেন্টালিটি : কেন আমার সঙ্গেই এমন হচ্ছে? আমার প্রতিই কেন এসব অবিচার?

২. মানসিক অসুস্থতা : ওর জন্য আমি এই কাজটি করতে পারলাম না। নিজের ব্যর্থতার জন্য কোনো একটি ইস্যুকে দোষারোপ করা।

৩. দোষারোপ করার মানসিকতা : এর দায়ভার রাষ্ট্রের। এটা সমাজব্যবস্থার জন্য হলো। আমার পরিবার এর জন্য দায়ী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads