• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
এক দিন খুঁড়েই স্থগিত গুপ্তধন উদ্ধার অভিযান

রাজধানীর মিরপুরে বাড়ির নিচে গুপ্তধন উদ্ধার অভিযান চালানো হয়

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মহানগর

এক দিন খুঁড়েই স্থগিত গুপ্তধন উদ্ধার অভিযান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০১৮

রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বরের একটি পুরনো বাড়িতে কথিত গুপ্তধন উদ্ধার অভিযান অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গত শনিবার খোঁড়াখুঁড়ির পর গতকাল রোববারই তা স্থগিতের ঘোষণা দেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।

এদিন সকালে উদ্ধারকাজ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি। দুপুর ২টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে সাকাপি বলেন, ‘বাড়ির এ স্থানটি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। মাটির নিচে গুপ্তধন আছে কি না, বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করলেই আবারো উদ্ধারকাজ শুরু হবে।’ এর আগ পর্যন্ত বাড়িটিকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হবে বলে জানান তিনি।

জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘এটি অনেক পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাড়ি। এ কারণে ঘরের মধ্যে মাটি খননের ফলে ওপর থেকে ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে চার ফুট মাটি খনন করা হয়েছে। জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদফতরের একজন ইঞ্জিনিয়ার খনন করা স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। তার পরামর্শেই উদ্ধারকাজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ আগে কেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খননকাজ শুরু করা হলো না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই বাড়ির নিচে গুপ্তধন রয়েছে- এই সংবাদ এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় সবার মধ্যেই এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছিল। এ কারণে পুলিশের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে গুপ্তধন উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়।’

এর আগে গত শনিবার প্রথম দিনের উদ্ধারকাজ সমাপ্ত করেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুজ্জামান। এদিন ছয় ঘণ্টা ধরে খোঁড়ার পরও ‘সি’ ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাড়িটিতে কোনো কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ১৪ ও ১০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় আলাদা দুটি জিডির (সাধারণ ডায়েরি) ঘটনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি পাঠায় পুলিশ। এরপরই এ খননকাজ শুরু হয়। জানা যায়, বাড়িটির মূল মালিক মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান চলে যান। তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads