• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বিক্রির সঙ্গে বাড়ছে দামও

হাটগুলোয় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদাই বেশি। দামও বেশ চড়া। ছবিটি গতকাল মেরাদিয়া হাটের

ছবি - বাংলাদেশের খবর

মহানগর

রাজধানীর পশুর হাট

বিক্রির সঙ্গে বাড়ছে দামও

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ আগস্ট ২০১৮

রাজধানীতে গত শুক্রবার কোরবানির পশুর হাট বসলেও প্রথম দুই দিন বেচাকেনা তেমন ছিল না। গতকাল রোববার থেকে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে গরুর দামও। এ দিন বিকালে রাজধানীর হাটগুলোতে প্রতিটি ছোট অথবা মাঝারি সাইজের গরুর দাম আগের দিনের তুলনায় ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত বাড়তি দেখা গেছে।

প্রতি বছরই ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসে রাজধানীর পশুর হাট ততটাই জমে ওঠে। রাখার জায়গা সঙ্কটের কারণে অনেকে ঈদের দিন সকালেও পশু কেনেন। আর সে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে হাটগুলোর বেপারি ও ব্যবসায়ীরা। পর্যাপ্ত গরুর সরবরাহ থাকলেও কাঙ্ক্ষিত দামে কিনতে পারছেন না কেউ। গাবতলীসহ কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ক্রেতার আনাগোনা। প্রথম থেকেই গরুর দাম চড়া থাকায় এ বছর দেশি ছোট ও মাঝারি গরুর প্রতি বেশি আকৃষ্ট ক্রেতারা। তবে এক দিনের ব্যবধানে সেসব গরুর দামই বেশি বেড়েছে।

গাবতলী বাজারে এজাজউদ্দিন নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বলেন, ‘কালও (শনিবার) বাজারে এসেছিলাম। ভাবলাম আরো দুয়েক দিন দেরি করি। কিন্তু আজ (রোববার) দেখি প্রতিটি গরুর দাম ১০-২০ হাজার টাকা বেড়েছে। হঠাৎ করে এ দাম বাড়ার কারণ বুঝতে পারছি না।’ হাট থেকে গরু কিনে বের হওয়ার সময় মিরপুর এলাকার শিহাব হুসাইন বলেন, ‘৭০ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। গত বছর এমন গরু কিনেছিলাম ৪৫ হাজারে। কাল কিনলে কিছুটা কম পেতাম। আজ তো বাজারে আগুন।’

বড় সাইজের গরুগুলোর দাম আগের থেকে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলে জানিয়ে হেলাল মিয়া নামে সিরাজগঞ্জের এক খামারি বলেন, ‘দেশি ছোট গরুর চাহিদা বেশি। এরপর অন্যরা ১ লাখ টাকার নিচে গরু খুঁজছে। এ কারণে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দাম বেড়েছে। তবে বড় গরুর কয়েক দিন আগেও যে দাম ছিল, আজও তাই আছে।’ সকাল থেকে বিক্রি বেড়েছে জানিয়ে ফরিদপুর থেকে আসা মিলাদ হোসেন বলেন, ‘আমি তিন দিন আগে ১০টি গরু নিয়ে এখানে এসেছি। প্রথম দিন একটাও গরু বিক্রি হয়নি। শনিবার বেচেছি ২টা। আর আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেঁচেছি ৩টা।’

প্রতিদিন সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু আসছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারপরও গরুর দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে খামারিরা খড়, ভুসিসহ অন্যান্য গো-খাদ্যের দাম বাড়ার অজুহাত দিচ্ছেন। তবে অনেক ক্রেতার অভিযোগ, বাজারে খামারি নায্য দামে গরু বিক্রি করলেও তাদের কাছ থেকে গরু কিনে বেপারিরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে।

আফতাবনগর পশুর অস্থায়ী হাটে ফরিদ হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘হাটের সব বিক্রেতা নিজেদের খামারি বলে দাবি করছে। কিন্তু তাদের কথাবার্তা ও ধরন দেখে অধিকাংশকেই খামারি মনে হচ্ছে না।’ বেপারিদের কয়েকটি সিন্ডিকেট ঢাকার আশপাশে গরু রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এমন অভিযোগও উঠেছে। সাভার, আমিনবাজার, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার অস্থায়ী খামারে এসব গরু রাখা হয়েছে।

এদিকে দিন যত যাচ্ছে ততই বিস্তৃত হচ্ছে রাজধানীর হাটগুলোর পরিধি। মোহাম্মদপুরের গরুর হাট কবরস্থানের আশপাশের খালি জায়গায় বসার কথা থাকলেও এখন তা মোহাম্মদপুর মোড় থেকে শুরু করে বছিলা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর মূল হাট ছড়িয়ে পড়েছে বছিলা এলাকাজুড়ে। কমলাপুরে এসে দেখা যায়, হাটের গরু বাঁধা হয়েছে মতিঝিল প্রধান সড়কের পাশে। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads