• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল খুলল

রূপসী বাংলা খুলল ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামে

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল খুলল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চার বছর সংস্কার শেষে পাঁচ তারকা মানের অভিজাত হোটেল ‘রূপসী বাংলা’ উদ্বোধন হলো ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা’ নামে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিজাত হোটেলটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর তিনি হোটেলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসময় ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ইন্টারবন্টিনেন্টাল হোটেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।

১৯৬৬ সালে শাহবাগ সংলগ্ন মিন্টো রোডে চালু হওয়া হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মুক্তিযুদ্ধসহ নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঢাকায় প্রথম গেরিলা আক্রমণটি হয় ইন্টারকন্টিনেন্টালে।

ইন্টারকন্টিনেন্টালে থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করেছিলেন বিদেশি সাংবাদিকরা। তখন এই হোটেলটি রেডক্রস জোন হিসেবে স্বীকৃত ছিল।

এটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামেই চলে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত। এরপর স্টারউড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় ১৯৮৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ঢাকা শেরাটন হোটেল নামে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে।

প্রায় ২৮ বছর পর ২০১১ সালের এপ্রিলে শেরাটন চলে গেলে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডই হোটেলটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়। তখন রূপসী বাংলা নামে চালু হয় হোটেলটি। সরকারি কোম্পানি বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড এই হোটেলটির মালিক।

এরপর ২০১২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল গ্রুপ পুনরায় এই হোটেল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ফিরতে চাইলে ২০১২ সালে তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়। 

চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধের পর ২০১৫ সালের মার্চে সংস্কার কাজ শুরু হয়। রূপসী বাংলা হোটেলে কক্ষ ছিল ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭২টি। সংস্কারের পর করে সংখ্যা কমে ২৩১ টিতে দাঁড়িয়েছে। আয়তনের দিক থেকে কক্ষের আকার দাঁড়িয়েছে ২৬ থেকে ৪০ স্কয়ার মিটার।

বিশ্বমানের অতিথি সেবা নিশ্চিত করতে পরিবর্তন করা হয়েছে সুইমিং পুল ও ডাইনিং হলের স্থান। এর আগে হোটেলটির হলরুম ছিল একদিকে, উইন্টার গার্ডেন নামে সবচেয়ে বড় হলরুমের অবস্থান ছিল আরেক দিকে। এখন দুটি এক করে দেয়া হয়েছে। হোটেলটির মূল ফটকও সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

ভেতরের সুইমিং পুলটিও স্থানান্তর করে সাজানো হয়েছে নতুন করে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় নিয়ে বাড়ানো হয়েছে সুযোগ-সুবিধা।

সংস্কার কাজে প্রায় ৬২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ইন্টারকন্টিনেন্টালকে সাজানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads