• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ঢাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ অভিভাবকদের ওপর হামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সংরক্ষিত ছবি

মহানগর

ঢাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ অভিভাবকদের ওপর হামলা

  • ঢাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্যসহ ভর্তিচ্ছুদের অভিভাবকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র হামিদ হোসেন ঢাবি প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বুধবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে ভর্তিচ্ছু কয়েকজনের অভিভাবককে নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মনিরুল আলম খোরশেদসহ তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেড়াতে যান। শহীদ মিনারে বসতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র তাদের নিষেধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়ার পরও ওই ছাত্ররা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে জগন্নাথ হল থেকে ২৫-৩০ জন ছাত্র এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগের খোরশেদের মাথা ফেটে গেলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে খোরশেদ বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও জুনিয়ররা তাদের ওপর হামলা চালায়। অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের আলক হাজং, ইংরেজি বিভাগের মানস মণ্ডল, লিঙ্গুইস্টিক বিভাগের সঞ্জয় সরকার জয়, সঙ্গীত বিভাগের মেহেদী হাসান দিপুকে প্রধান হামলাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে সঞ্জয় সরকার জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক। মানস মণ্ডল জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-সেবা ও চিকিৎসাবিষয়ক সম্পাদক। মেহেদী হাসান দিপু ও আলক হাজংও ছাত্রলীগ কর্মী।

তবে অভিযুক্তরা হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আলক হাজং জানান, ওই ঘটনার সময় তিনি সিলেটে ছিলেন। সঞ্জয় সরকার বলেন, তিনি ঘটনাটি সম্পর্কেই জানেন না। মেহেদী হাসান দিপু বলেন, তিনি ওইদিন দুপুর আড়াইটায় গাজীপুরে তার বাসায় যান। এ বিষয়ে প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads