• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ

বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

একুশ আগস্ট হামলা মামলার রায়

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে তারেক রহমানসহ দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন স্থানে মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে বেশ কয়েকজন আহত ও অন্তত ১৫ জন আটক হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মোড় থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, কেরানীগঞ্জ ীরা। মিছিলটি সিএমএম কোর্টের কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি চলাকালে শ্যামপুর থানা বিএনপির নেতা মো. স্বপন মিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১৫-১৬ জনকে আটক করে এবং পুলিশি হামলায় বিএনপি ও বিভিন্ন সংগঠনের ১৫ জন আহত হন। রফিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গেট থেকে শুরু হয়ে গোলাপশাহ মাজার অতিক্রম করে জিরো পয়েন্ট গিয়ে শেষ হয়। এই থানার অপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক থেকে পল্টন মোড়ে এসে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

রমনা থানা বিএনপির উদ্যোগে মগবাজার ওয়্যারলেস মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বংশাল থানার বিক্ষোভ মিছিল নর্থ সাউথ রোড প্রদক্ষিণ করে সুরিটোলা স্কুলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সূত্রাপুর থানা বিএনপির একটি মিছিল সিএমএম কোর্ট এলাকা থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্কে গিয়ে শেষ হয়। কলাবাগান থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল বাংলাভিশন টিভি মোড় থেকে শুরু হয়ে পান্থপথ ফার্নিচার মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়। কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির নেতা হাজী মনির হোসেন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি মিছিল ঝাউচর চৌরাস্তা থেকে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঝাউচর বেড়িবাঁধ মোড়ে এসে শেষ হয়।

লালবাগ থানা বিএনপির সভাপতি সাঈদ হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে একটি মিছিল আতশ খান লেন হয়ে শেখ সাহেব বাজার যাওয়া মাত্রই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পুলিশের লাঠিচার্জে ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত হন। ওয়ারী থানা বিএনপির মিছিলে নেতৃত্ব দেন মোজাম্মেল হক মুক্তা। নবাবপুর ডিসেন্ট মার্কেট থেকে শুরু করে মদনপাল রোডে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। কদমতলী থানা বিএনপির উদ্যোগে পৃথকভাবে হাজী মীর হোসেন মীরু জুম্মন মিয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এছাড়া শ্যামপুর, ডেমরা, গেন্ডারিয়া, কদমতলী, কোতোয়ালি, মতিঝিল, চকবাজার, হাজারীবাগ, মুগদা, পল্টন, নিউমার্কেট, সবুজবাগ, ধানমন্ডি ও খিলগাঁও থানার নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মহানগর উত্তর বিএনপি : তেজগাঁও সাতরাস্তায় মহানগর উত্তর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি বিজি প্রেস গিয়ে শেষ হয়। মোহাম্মদপুর থানার বিক্ষোভ মিছিল টাউন হলের সামনে থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির মিছিলে মো. আফাজ উদ্দিন নেতৃত্ব দেন। মিরপুর, শাহ আলী ও দারুস সালাম থানা বিএনপিও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads