• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
দুর্ভোগে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন পার

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

দুর্ভোগে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন পার

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০১৮

পরিবহণ শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামে জুড়ে ছিল মানুষের দুর্ভোগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগ ছিল সীমাহীন। নগরীর মোড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিল যাত্রীরা। বেশির ভাগ মানুষকে গন্তব্যে যেতে হয়েছে পায়ে হেঁটে। নগরীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা আন্ত:জেলা কোন বাস ছেড়ে যায়নি। সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করলেও যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হয়েছে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ পর্যন্ত।

নগরীর শাহ আমানত সেতু, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নাম্বার গেইট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, বারেক বিল্ডিং মোড় জুড়ে ছিল লাখো যাত্রীদের দুর্ভোগ। অফিসমুখো যাত্রীরা স্বাভাবিক সময়ে দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে ঘর থেকে বের হয়েও কোনো যানবাহন পায়নি।

এ বিষয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আনিসুল হক বলেন, ৯ টায় অফিসে পৌঁছতে সাতটায় বাসা থেকে বের হয়েছি। প্রতিদিন বের হই সাড়ে আটটায়। এরপরও কোন গাড়ি পাইনি। ফলে পায়ে গেটে জিইসি থেকে আগ্রাবাদ যেতে হল।

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের জন্য বাস চলাচলে বাঁধা না দেওয়ার কথা দিলেও ওই রুটে কোন বাস চলতে দেয়নি শ্রমিকরা। ফলে পায়ে হেটে, ভেঙে ভেঙে সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় চড়ে শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী প্রাইম মুভার চলাচল আজ সোমবার সকালে বন্ধ থাকলেও দুপুর ২টার পর থেকে চলাচল শুরু করে। প্রাইম মুভার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, সকাল থেকে আমরা প্রাইমমুভার চালাইনি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগীতা আশ্বাস দেওয়ার পর বেলা ২টা থেকে আমরা প্রাইমমুভার চালানো শুরু করি।

প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহণ আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট শুরু করেছে পরিবহণ শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads