• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কাকরাইল মসজিদে আট বিদেশির পাসপোর্ট আটকে রাখার অভিযোগ

কাকরাইল মসজিদ

সংরক্ষিত ছবি

মহানগর

কাকরাইল মসজিদে আট বিদেশির পাসপোর্ট আটকে রাখার অভিযোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮

তাবলিগ জামাতের মারকাজ ঢাকার কাকরাইল মসজিদে আসা বিদেশি তাবলিগকর্মীদের পাসপোর্ট, টাকা ও মালামাল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে সা’দবিরোধীদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিদেশি তাবলিগকর্মীদের বিভিন্ন স্থানে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সা’দ অনুসারীরা। পাসপোর্ট ও নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেরত না পাওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা আট তাবলিগকর্মী। ইতোমধ্যে তারা পাসপোর্ট মালামাল ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কাকরাইল মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে আসা তাবলিগকর্মীদের জন্য কাকরাইল মসজিদে একটি আমানতখানা রয়েছে। এখানে বিদেশি তাবলিগকর্মীদের পাসপোর্ট, বিমানের টিকেট, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র জমা রাখা হয়। এমনকি অনেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বেশি টাকা সঙ্গে না নিয়ে এই আমানতখানায় রেখে যান।

তাবলিগ সূত্র জানিয়েছে, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আগে থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলিগের অনুসারীরা আসা শুরু করেন। অনেকেই ইজতেমার আগে এক চিল্লা (৪০ দিন) সময় দেন বাংলাদেশ তাবলিগের কাজে। ইজতেমা শেষে তারা দেশে ফেরত যান। আবার কেউ কেউ ইজতেমা শেষে বাংলাদেশে তাবলিগের কাজে সময় ব্যয় করেন। টঙ্গিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও হেনস্তার কারণে এ বছর সেই সংখ্যা কমার শঙ্কা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইজতেমা ও ইজতেমা-পূর্ব ‘জোড়’-এ অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়াসহ বেশকিছু দেশের তাবলিগকর্মী ঢাকায় এসেছেন। এদের মধ্যে কয়েকটি জামাত (দল) ইন্দোনেশিয়া থেকে নভেম্বরে বাংলাদেশে আসে। তাদের কয়েকজন ৪ ডিসেম্বর দুপুরে নিজেদের পাসপোর্ট, টাকা ও জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য কাকরাইল মসজিদে যান। তাদের সহযোগিতা করার জন্য সঙ্গে ছিলেন সা’দ অনুসারী তাবলিগকর্মী খোরশেদ আলম। ওই দিন বিকালে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকরা রমনা থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। পরে ৫ ডিসেম্বর তারা ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসেও লিখিত অভিযোগ করেন।

ইন্দোনেশিয়া জামাতের পাঁচ অনুসারী বর্তমানে মিরপুরের একটি মসজিদে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে একজন ডিকি রোমানতাসা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘আমাদের পাসপোর্ট, জামাকাপড় ও টাকা কাকরাইল মসজিদ থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। থানায়ও গিয়েছিলাম কোনো সমাধান পাইনি। টাকার জন্য আমাদের চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে। আমাদের মধ্যে অনেকের দেশে ফেরত যাওয়া কথা ছিল। পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়ার কারণে তারা ফেরত যেতে পারছেন না। বিমানের টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না, এখন কী করব।’

একই অভিযোগ সওয়ার্দি রুস্তমের। তিনি বলেন, ‘আমাদের অপরাধ কী জানি না। আমাদের টাকা-পয়সা, পাসপোর্ট কী কারণে আটকে রাখা হয়েছে, তাও বলা হয়নি। আমরা ভীত এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।’

তবে এসব অভিযোগকে গুজব বলছেন সা’দবিরোধীরা। তাবলিগে সা’দবিরোধী অংশের নেতা ড. আজগর বলেন, ‘তারা (সা’দঅনুসারী) নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নানাভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’

সা’দ অনুসারী তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা আবদুল্লাহ মনছুর বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশি নয়, বিদেশিরাও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা মেহমানদের পাসপোর্ট ও ডলার আটকে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ভয়ে মালামাল না নিয়েই দেশে ফিরে গেছেন। কোথাও কোথাও বিদেশি মেহমানদের বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads