• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যস্ততা ফেরেনি ঢাকায়

অফিস চলাকালেও গতকাল রাজধানীর সড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা। ছবিটি শাপলা চত্বর এলাকার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মহানগর

ব্যস্ততা ফেরেনি ঢাকায়

  • নাজমুল হুসাইন
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন গতকাল সোমবার রাজধানী ছিল সেই অপরিচিত রূপেই। প্রতিদিনের ব্যস্ত সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক হয়নি। অফিস আদালত খুললেও উপস্থিতি ছিল বেশ কম। আর ব্যাংকের দেনদেন বন্ধ থাকায় ব্যবসায় প্রাণ ফেরেনি। সঙ্গে রাজধানীর দোকানপাটের অধিকাংশই রয়ে গেছে বন্ধ। 

গত রোববার ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকায় গতকাল (সোমবার) রাজধানীতে ফিরতে পারেনি গ্রামে ফেরা অধিকাংশ মানুষ। সেটা এ পরিস্থিতির প্রধান কারণ। ফলে রাস্তাঘাটে দেখা গেছে খুব কমসংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি। সেই সঙ্গে খুব একটা বাড়েনি গণপরিবহনের সংখ্যাও। রিকশা চলাচল কিছুটা বাড়ায় যাতায়াতের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে যানটি।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, গত ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ১০ ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছিল। আজ ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে রাস্তাঘাটে নিষেধাজ্ঞা শেষেও যান চলাচল বাড়েনি। উল্টো অনেক রাস্তায় মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।

গতকাল রামপুরা, মালিবাগ, কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, মতিঝিলসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র। এলাকাগুলোর ব্যস্ত মোড়ে মানুষের উপস্থিতি ভোটের সময়ের থেকে কিছুটা বাড়লেও তা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশ কম। এসব এলাকায় এখনো তল্লাশি পোস্টে পুলিশকে যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র তল্লাশি করতে দেখা যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলে তেমন একটা বাধা দিতে দেখা যায়নি।

গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় মতিঝিলে দেখা গেল, বেশিরভাগ প্রাইভেটকার সিএনজি যে যার গন্তব্যে ছুটে চলছে। কিন্তু বাসের দেখা মিলছে না সে তুলনায়। ফলে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে অবস্থানরত সিএনজি ড্রাইভার লিয়াকত আলী প্রতিবেদককে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও অনেকে ভয়ভীতির কারণে যানবাহন বের করেনি। আবার অনেক ড্রাইভার এখনো গ্রাম থেকে ফেরেনি। এ কারণে রাস্তায় গাড়ি কম।

এদিকে ওই পথে বেসরকারি কোম্পানির একজন চাকরিজীবী বলেন, ভোটের কারণে যারা গ্রামে ফিরেছে তারা এখন নতুন বছর পালন করে ফিরবে। তারা আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে, দুয়েক দিন বেশি ছুটি নিয়েছে। এ কারণে অফিসগুলোতেও এখনো লোক কম।

অপরদিকে গতকাল ছিল ব্যাংক হলিডে। এদিন ব্যাংক খোলা থাকলেও কোনো ধরনের লেনদেন হয়নি। ফলে সাধারণ গ্রাহকরা ব্যাংকে লেনদেন করতে পারেনি। নেহাত প্রয়োজন হলে কার্ডের মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তবে গত টানা চার দিন প্রধান লেনদেন বন্ধ থাকায় ব্যবসার স্থবিরতা কাটেনি। দোকানপাটে বেচা বিক্রি বাড়েনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads