• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বার্ন ইনস্টিটিউটে ‘শেখ হাসিনা’ বানান অসম্পূর্ণ!

অসম্পূর্ণ নামের বানানেই পড়ে আছে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’র বাইরের দেয়াল

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

বার্ন ইনস্টিটিউটে ‘শেখ হাসিনা’ বানান অসম্পূর্ণ!

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সংলগ্ন ৫০০ শয্যার ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’র বাইরের দেয়ালে প্রতিষ্ঠানের নাম এখনো অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ১৮তলা ভবনবিশিষ্ট বিশেষায়িত এই হাসপাতালের দেয়ালে অসম্পূর্ণ লেখাটি দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে। বকশিবাজার মোড় থেকে চাঁনখারপুলের দিকে যাতায়াতকারী সবাই কিছুদিন ধরে এ লেখাটি দেখে হাসাহাসি করছেন।

বহুতল ভবনটির উপরিভাগের বাইরের দেয়ালে উপর থেকে নিচে চারটি লাইনের প্রথমটিতে বাংলায় ‘শেখ হাসি’, দ্বিতীয় লাইনে ‘জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক’, তৃতীয় লাইনে ইংরেজি হরফে ‘শেখ হাস’ ও চতুর্থ লাইনে ইংরেজিতে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন’ লেখা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন মাস আগে উদ্বোধন হলেও এখনো চালু হয়নি আগুনে পোড়া রোগীদের সুচিকিৎসায় রাজধানী ঢাকায় নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।’

গত বছরের ২৪ অক্টোবর বর্তমান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর চাঁনখারপুলে এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। ১৮তলা বহুতল ভবনসহ দুই একর জমিতে প্রতিষ্ঠানটি ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।

উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটি চালুর ফলে আগুনে পোড়াসহ বিভিন্নভাবে দগ্ধদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।’ কিন্তু তিন মাসেও পোড়া রোগীদের চিকিৎসা এখানে শুরু করা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালটির জন্য পৃথক বিদ্যুৎ স্টেশন স্থাপন, চিকিৎসক ও নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, যন্ত্রপাতি স্থাপন করা সম্ভব না হওয়ায় সহসা চালু হচ্ছে না। আরো কয়েক মাস পোড়া রোগীদের চিকিৎসা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটেই করতে হবে।

২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫০০ শয্যার ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ নির্মাণের অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁনখারপুলে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

২৭ এপ্রিল বাংলদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এর নির্মাণকাজ শুরু করে। বহুতলবিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটটির মাটির নিচে তিনতলা বেজমেন্ট। সেখানে গাড়ি পার্কিং ও রেডিওলজিসহ আরো কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ রাখা হচ্ছে।

ইনস্টিটিউটটিতে ৫০০ শয্যা, ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার ও অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড থাকছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, বিদেশ থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনা, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে উদ্বোধন হতে বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি জানান, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি এসে গেছে। জনবল নিয়োগও দ্রুত শুরু হবে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে এ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর নামের বানান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. সামন্তলাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads