• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
খনন করে হাউজিং অপসারণ

তুরাগ নদের বসিলায় গতকাল ভরাটকৃত মূল চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মহানগর

খনন করে হাউজিং অপসারণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ মার্চ ২০১৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় তুরাগ নদের প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে আমিন মোমিন হাউজিং কোম্পানি। নদের তীর দখল করে গড়ে তোলা এই স্থাপনা অবশেষে খনন করে অপসারণ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৪টি এক্সকাভেটর ও একটি ভেকু দিয়ে খনন শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। এতে প্রায় ২০ হাজার ঘনমিটার মাটি, বালি ও রাবিশ অপসারণ করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, পুরো হাউজিংটি গভীরতায় ২৫ ফুট খনন করে তুরাগের পুরনো চ্যানেলটি ফিরিয়ে আনা হবে। তবে উচ্ছেদ ও খননকে অবৈধ বলে দাবি করেছে আমিন মোমিন হাউজিং। এ সময় বাধা দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপককে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জায়গাটিতে নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে বলে জানান অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তা। নদের জায়গা দখলমুক্ত করতে প্রায় দেড় মাস ধরে টানা উচ্ছেদ অভিযান চালালেও দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে গতকাল উচ্ছেদ করা জায়গায় খনন শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ।

তুরাগের একটি চ্যানেল বন্ধ করে লম্বায় প্রায় ৩ হাজার ফুট ও চওড়ায় ২৫০ ফুট নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা আমিন মোমিন হাউজিং দিয়ে শুরু হয় খনন অভিযান। চারটি এক্সকাভেটর ও একটি ভেকুর সহায়তায় চলে নদের জায়গা নদকে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ। ধারাবাহিকভাবে নদের অন্য অবৈধ হাউজিংগুলোও উচ্ছেদ করে খনন করা হবে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ।

বন্দর বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক মো. শফিকুল হক বলেন, আজ (গতকাল) রাতের মধ্যে আর ৫টা এক্সকাভেটর এখানে নিয়োজিত হবে। আগামীকাল (আজ) থেকে ৯টা ভেকু একসঙ্গে কাজ করবে। যতক্ষণ না আমরা নেভিক্যাবল ওয়াটার ওয়েজ সৃষ্টি করতে পারছি সেকেন্ড রুট হিসেবে, ততক্ষণ আমরা এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব।

খনন চলাকালীন বেলা ১১টার পর ঘটনাস্থলে এসে বিআইডব্লিউটিএর অভিযানকে অবৈধ বলে দাবি করে আমিন মোমিন হাউজিংয়ের আইনজীবীরা বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানই তাদের বৈধতা দিয়েছেন।

আমিন মোমিন হাউজিং আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে এবং হাইকোর্টের রায় আমাদের পক্ষে। আমাদের যে উচ্ছেদ করা হচ্ছে, এটা বেআইনিভাবে করা হচ্ছে। আমরা সরাসরি চেয়ারম্যান, সচিব মহাদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে, আপনাদের কাগজপত্র বৈধ আছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব।

ঢাকা নদীবন্দর বিআইডব্লিউটি যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, ছয় লাখ ঘনমিটার মাটি কাটা হবে, এই মাটিটা কেটে নদীর যে আগে প্রবাহটা সে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা। আমরা এটির মাধ্যমে একটা  মেসেজ দিতে চাই, অন্য যেসব হাউজিং কোম্পানি নদীকে ভরাট করে হাউজিং গড়ে তুলেছে বা অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। তাদের জন্য এটি একটি সতর্ক মেসেজ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads