রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ আরো চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সদরঘাটের আহসান মঞ্জিল জাদুঘর বরাবর নদী থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন একজন। তার সন্ধানে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- শাহজালালের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৩২), তার মেয়ে মিম (৬), মাহির (০৮) , জামশেদার স্বামী দেলোয়ার হোসেন (৩০)। এর আগে শুক্রবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় নদী থেকে নিখোঁজ দেলোয়ারের স্ত্রী জামশিদার (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সদরঘাটের আহসান মঞ্জিলের দক্ষিণ পাশের নদী থেকে একে একে ভাসমান অবস্থায় শিশুসহ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নৌকায় করে সদরঘাটের দিকে আসছিলেন গার্মেন্ট কর্মী শাহজালাল মিয়া (৩৮)। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শরীয়তপুরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। রাত ১০টার দিকে সদরঘাটের ১৩ নম্বর পন্টুনের কাছে সুরভি-৭ লঞ্চের ধাক্কায় তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের প্রপেলারের আঘাতে শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নৌ পুলিশের টহলদল তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তিনি জাতীয় অর্থোপেডিকস ও পুর্নবাসন (পঙ্গু হাসপাতাল) কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তার পরিবারের চারজন সদস্য এখনও নিখোঁজ।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নৌবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ওই নৌকার যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত লঞ্চের পেছন দিক দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় লঞ্চ পেছন দিকে যেতে থাকায় প্রপেলারের ঢেউয়ের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়।