• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
আরো পাঁচ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত

পরীক্ষায় পরিচয় শনাক্ত আরও দুইজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ

সংরক্ষিত ছবি

মহানগর

আরো পাঁচ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ মার্চ ২০১৯

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরো পাঁচ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ নিয়ে মোট ১৬টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে সিআইডি। ডিএনএ নমুনার মিল না পাওয়ায় এখনো দুটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার মালিবাগে সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। শনাক্ত হওয়া প্রথম মরদেহটি হাজী ইসমাইলের। তার বাবা মো. সোহরাব হোসেনের সঙ্গে তার ডিএনএ মিলেছে। দ্বিতীয়টি ফয়সাল সারওয়ারের, তৃতীয়টি রেনুমা তাবাসসুম দোলা, চতুর্থ মোস্তফা এবং পঞ্চমটি মো. জাফরের। হিমায়েত হোসেন বলেন, এখনো ২টি মরদেহ ও ৩টি পরিবারের ডিএনএ নমুনা আমাদের কাছে রয়েছে। ওই মরদেহের সঙ্গে এই ৩ পরিবারের কারো ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। এগুলো মর্গে রাখা হবে। কেউ মরদেহগুলো দাবি করলে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মেলানো হবে।

তিনি আরো বলেন, মরদেহ শনাক্তের কাজটি দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ ছিল। আমরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দুটি ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে পাঠাই এবং আলামত সংগ্রহ করি। এ ছাড়া ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর অন্যান্য রুটিন কাজ বাদ দিয়ে পরিচয় শনাক্তের কাজটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করেছি।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট ১২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ওইদিন মোট ৬৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় বলে দাবি করা হলেও সেদিন ৬৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় সিআইডি।

ডিএনএ টেস্টের আলোকে সিআইডি বলেছে, ঘটনাস্থল থেকে ৬৮টি ব্যাগে করে মরদেহ আনা হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল, এগুলোর মধ্যে ৬৮টি মরদেহ রয়েছে। তবে মরদেহ পাওয়া গেছে ৬৬টি। বাকিগুলো অন্য মরদেহের খণ্ডাংশ।

সিআইডি জানিয়েছে, মরদেহের ব্যাগগুলোর মধ্যে একটিতে শরীরের তিনটি অঙ্গের খণ্ডাংশ ছিল। অপরটিতে একটি বিচ্ছিন্ন হাত ছিল। ডিএনএ টেস্টের পর সিআইডি জানতে পারে এগুলো আলাদা ব্যক্তির মরদেহ নয়, যাদের মরদেহ মর্গে রয়েছে তাদের তিনজনের অঙ্গের খণ্ডাংশ। যে হাতের বিচ্ছিন্ন অংশ ছিল, সেটা ছিল ২৩ নম্বর মরদেহের, যা আগেই হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া ৬৬ নম্বর ব্যাগটিতে তিনটি অঙ্গের খণ্ডাংশ ছিল, এগুলো মরদেহ নম্বর ৮ ও ১৩ এর শরীরের অংশ। এ দুটি মরদেহও আগে হস্তান্তর করা হয়।

চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বর্তমান তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে ৬৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর আহত ও দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন মারা যান। অর্থাৎ মোট নিহতের সংখ্যা ৭০ জন।  ঘটনার পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ এলাকায় স্বজন দাবিদারদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। এরপর গত ৬ মার্চ ১১ জনের মরদেহ শনাক্ত করে সিআইডি। তারা হলেন ফাতেমাতুজ জোহরা, সালেহ আহমেদ, মো. ইব্রাহীম, মো. এনামুল হক, তানজীল হাসান, নাসরিন জাহান, মো. শাহীন আহমেদ, হাসান উল্লাহ, দুলাল কর্মকার, নুরুজ্জামান, নুরুল হকের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads