• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মাঠে নামছে ২৪ টিম

বিশ্বে বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় দ্বিতীয় শহর ঢাকা

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

ইমারত বিধি লঙ্ঘন

মাঠে নামছে ২৪ টিম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ এপ্রিল ২০১৯

রাজধানীতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে নামছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। আজ থেকে সংস্থাটির ২৪টি বিশেষ দল অভিযানে মাঠে নামছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর অভিজাত বনানীর বহুতল এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর প্রধানমন্ত্রী এক বৈঠকে, যেসব ভবন ইমারত নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন করে গড়ে উঠেছে সেসব ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

গত বৃহস্পতিবার বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এবং ঢাকা শহরের বিদ্যমান ভবনগুলো বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আশু করণীয় বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। রাজউক মিলনায়তনে গতকাল রোববার দিকনির্দেশনামূলক সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত  মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী  শ. ম. রেজাউল করিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির,  রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সাংবাকিদদের ব্রিফিং করা হয়।

গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, যেসব ভবনে পরিকল্পনা নকশা অনুযায়ী করা হয়নি সেসব ভবনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নিয়মের বাইরে যেসব থাকবে সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর জন্য রাজউকের ২৪টি টিম মাঠে কাজ করবে। 

তিনি বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০৮-এর পূর্ববর্তী সময়ে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বা গ্যারেজ রাখার কোনো বিধান ছিল না। সে সকলের ভবনের জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি বিল্ডিং যারা ব্যবহার করবেন তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে বা সেখানকার মানুষ হিসেবে আগে দেখে নিতে হবে যে সেখানে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কি না। অতিরিক্ত সিঁড়ি লাগানো আছে কি না বা নিয়ম মেনে বিল্ডিং করা হয়েছে কি না। যদি এসব নিয়ম মেনে না করা হয় তাহলে আপনি সেই সেই ভবনটি ব্যবহার করবেন না।

শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হওয়ার পর আমরা এটা জনসম্মুখে জাতীয় পত্রিকায় টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন আকারে দরকার হয় প্রকাশ করব। কারণ দেশের মানুষের জানা দরকার অর্থলোভী মানুষরূপী যারা এভাবে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করে জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করেনি তাদের চেহারা দেশবাসীর দেখা উচিত।

তিনি বলেন, পহেলা মে থেকে রাজউকের সকল সেবা ডিজিটাইজেশন হবে এর মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তি দূর হবে এবং জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। বিল্ডিংয়ের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা শুধু বিল্ডিং মালিক এবং ডেভেলপার কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম আগে। কিন্তু এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads