• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ঝুঁকিতে ঢাকার লাইফলাইন

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

ঝুঁকিতে ঢাকার লাইফলাইন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ মে ২০১৯

নদ-নদী ও খাল-বিল ভূপৃষ্ঠের জীবনপ্রণালি গঠন ও সুরক্ষার অন্যতম প্রাকৃতিক দান, যেটিকে ইংরেজিতে লাইফলাইন বলা হয়ে থাকে। ঢাকার লাইফলাইন এখানকার নদী ও খাল। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে দখল আর বর্জ্য দূষণে ঢাকার লাইফলাইন এখন বন্ধ হওয়ার পথে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ঢাকার খালগুলোর করুণ চিত্র।

একসময়ের মান্ডা খাল এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। সত্যিই বিস্মিত হওয়ার মতো খবর। স্থানীয়দের ভাষ্য একসময় এর পরিধি নাকি অনেক বড় ছিল। যুগের পর যুগ দখলের প্রতিযোগিতা, ময়লা-আবর্জনা জমতে জমতে রাজধানী ঢাকার এ খালটি এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে।

একসময় এ খাল দিয়ে চলত ছোট-বড় নৌযান। পণ্য পরিবহনেও এ খালের গুরুত্ব ছিল বেশ। এখন খালের জমিতে গড়ে উঠেছে স্থাপনা। নির্বিচারে খালটি বেহাত হয়েছে। কেউ বাধা দেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দুঃখ এটিকে আর খাল বলা যায় না। রাজধানীর ড্রেনগুলো আরো অনেক বড়। এত গেল মান্ডা খালের করুণ গল্প।

খিলগাঁও রেলগেট ফ্লাইওভার সংলগ্ন ফার্নিচার দোকানগুলোর সামনে ‘খিলগাঁও-বাসাবো’ খালের নামসংবলিত ঢাকা ওয়াসার একটি ফলক রয়েছে। এতে খাল দখলমুক্ত রাখতে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কথা লেখা রয়েছে। তবে ফলকটির আশপাশের কোথাও খালের কোনো অস্তিত্ব নেই। রাজধানীজুড়ে প্রবহমান খালগুলোর করুণ অবস্থার কথা পুরনো মানুষদের মুখে মুখে। দখল-বেদখলে খালগুলো বিলীন হয়ে গেলেও খালগুলোর স্মৃতি এখনো পুরনোদের মুখে মুখে। 

বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এসব খাল উদ্ধারের আশ্বাস দিলেও গত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য দেখা যায়নি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ৫০ খালের অস্তিত্ব ছিল। এর আগে ছিল ৬৫। গত ২৯ বছরে ৩৬টির বেশি বিলীন হয়ে গেছে। বাকি ২৬টির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেলেও দখল ও দূষণের হুমকিতে বিলীন হওয়ার পথেই রয়েছে এসব খাল।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সংশ্লিষ্টরা বলেন, ওয়াসার পক্ষ থেকে ১২ খাল প্রবহমান বলা হলেও বর্তমানে ২১ খাল বর্ষা মৌসুমে প্রবহমান থাকে। কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে এ খালগুলো সারা বছর প্রবহমান রাখা সম্ভব। কিন্তু সংস্থাগুলো এসব বিষয়ে উদাসীন।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বক্স-কালভার্টগুলো ভেঙে হলেও খাল উদ্ধার করতে হবে। ওয়াসার গাফিলতির কারণে খালগুলো নালায় পরিণত হয়ে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। বাপার পক্ষ থেকে খাল উদ্ধারের একটি প্রস্তাব তৈরি করে সরকারের কাছে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গেছে। ওই প্রস্তাবেও দেখানো হয়েছে কত সহজেই রাজধানীর ২৬ খাল উদ্ধার করে সচল রাখা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান অবস্থার উন্নতি না হলে বা জলাশয় রক্ষায় কঠিন পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার প্রাণ খালগুলোর অস্তিত্ব থাকবে না। দখলে যাওয়া ৪৩ খাল উচ্ছেদ অভিযানে নামার কথা ছিল দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। সিদ্ধান্ত হয়, খাল উচ্ছেদের পর সীমানা চিহ্নিত করা হবে। এরপর নির্মাণ করা হবে ওয়াকওয়ে। খালের দুপাড়ে লাগানো হবে ফুলসহ নানা প্রজাতির গাছ। অথচ এখনো সবকিছু পরিকল্পনাতেই রয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল, বক্স কালভার্ট অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য ঘোষণা দেন। প্রাথমিকভাবে নন্দীপাড়া-ত্রিমোহনী খাল ও হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তা অবৈধ দখলমুক্ত করার অভিযান চালানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। অভিযানে সফলতাও এসেছিল। কিন্তু দখলমুক্ত রাখার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। তাই সব খাল এখন ফের দখল হয়েছে।

ত্রিমোহিনী খালের করুণ অবস্থা

খালপাড় ঘেঁষে সারি সারি স্থাপনা আর কাঁচা-পাকা দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বলতে গেলে ইচ্ছেমতো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে খালের বুকে। ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনীর গুদারাঘাটের বর্তমান অবস্থাই বলে দেয় কতটা লাগামহীনভাবে চলছে খাল দখলের মহোৎসব। সরকারি জমি দখল করে অবাধে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য।

খালের সংখ্যা নিয়ে রয়েছে নানামত

প্রকৃতপক্ষে রাজধানীতে খালের সংখ্যা কত এ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ভিন্ন ভিন্ন। খাল সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসা বলছে, নগরীতে খালের সংখ্যা ২৬। অন্যদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালের সংখ্যা ৫০। ঢাকা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানে (ড্যাপ) ঢাকায় মোট খালের সংখ্যা ৪৩ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াসার হিসাবে ১২ এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রতিবেদনে ২৪ খাল আংশিক প্রবহমান বলা হয়েছে। বাকি খালগুলোর বেশির ভাগ অবৈধ দখলে বিলুপ্ত, কিছু আবার আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে বিলুপ্তির পথে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি তৈরি করা ম্যাপটি অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য।  ওয়াসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর ২৬ খাল ঢাকা ওয়াসাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ খালের সংস্কার কাজ চলছে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা একসময় প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত হতো। তখন নগরীতেই ৬৫ খাল ছিল। বর্তমানে প্রবহমান খালের সংখ্যা ২৬। এর মধ্যে সাতটি খাল পড়েছে ডিএসসিসি এলাকায়। বাকি খালগুলো পড়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়। ঢাকার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ধোলাইখাল, নন্দীপাড়া খাল, ত্রিমোহিনী খাল ও ডিএনডি বাঁধ বন্যানিয়ন্ত্রণ খালে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করলে খালগুলো আবারো আগের মতো সচল হবে।

আংশিক প্রবহমান যেসব খাল

ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাপ থেকে দেখা যায়, নলি খাল, দ্বিগুণ খাল, কল্যাণপুর খাল, মেরুল খাল, ডুমনী-কাঁঠালদিয়া খাল, কামরাঙ্গীরচর খাল, বেগুনবাড়ী খাল, মহাখালী খাল, গুলশান খাল, গুলার খাল, নাসিরাবাদ-নিগুর এপাইদ খাল, হাইক্কার খাল, রায়েরবাজার খাল, কালুনগর খাল, রাজাবাজার খাল, ধানমন্ডি খাল, পরীবাগ খাল, মেরাদিয়া-গজারিয়া খাল, জোয়ারসাহারা খাল, ডুমনী খাল, বাউথার খাল, নাসিরাবাদ-নন্দীপাড়া খাল, দক্ষিণগাঁও-নন্দীপাড়া খাল, আরামবাগ খাল, গোপীবাগ খাল, ধলপুর খাল, ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ী-মাতুয়াইল-মান্ডা খাল, ডিএনডি বাঁধ বন্যানিয়ন্ত্রণ খাল, জিয়া সরণি খাল, শ্যামপুর-কদমতলী খাল এবং কদমতলী খাল আংশিক প্রবহমান বলে উল্লেখ রয়েছে। দৃশ্যত এসব খাল নালায় পরিণত হয়েছে। আবার বাস্তবে কিছু খালের অস্তিত্বও নেই।

দখলমুক্ত করার উদ্যোগ

খাল দখলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত খালগুলোর প্রবাহ ধরে রাখার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দখলমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ওয়াসার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ কাজ করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘খালগুলো ওয়াসার অধীন। খালের পাড় ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধীন। জেলা প্রশাসককে বলেছি আপনি আসেন, পর্যবেক্ষণ করেন। খালের দুই পাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে, এগুলো ভেঙে ফেলা উচিত। আমি বলে দিয়েছি, কোনো খাল দখলে থাকবে না।’

অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি নদীপাড়ের অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। একইভাবে খালপাড়ের অবৈধ স্থাপনাগুলোও ভেঙে ফেলতে হবে।’

সিটি করপোরেশনের প্রতিবেদন

রাজধানীর জলাবদ্ধতার কারণ নিয়ে সম্প্রতি সচিত্র প্রতিবেদন তৈরি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে খালের সংখ্যা ৪৩। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসা রক্ষণাবেক্ষণ করে ২৬। নয়টি খাল রাস্তা, বক্সকালভার্ট ও ব্রিক সুয়ারেজ লাইনে পরিবর্তন করা হয়েছে। বাকি আটটি খাল রয়েছে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে।

২০১৭ সালের ১৬ জুলাই নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভায় ‘ঢাকায় জলাবদ্ধতার কারণ এবং রাজধানীর খালগুলোর বর্তমান অবস্থা’ নিয়ে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিদ্যমান খালগুলোর মধ্যে রামচন্দ্রপুর খাল ১০০ ফুটের জায়গায় ৬০ ফুট, মহাখালী খাল ৬০ ফুটের জায়গায় ৩০ ফুট, প্যারিস খাল ২০ ফুটের স্থলে ১০-১২ ফুট, বাইশটেকি খাল ৩০ ফুটের স্থলে ১৮-২০ ফুট, বাউনিয়া খাল ৬০ ফুটের বদলে ৩৫-৪০ ফুট, দ্বিগুণ খাল ২০০ ফুটের বদলে ১৭০ ফুট, আবদুল্লাহপুর খাল ১০০ ফুটের বদলে ৬৫ ফুট, কল্যাণপুর প্রধান খাল ১২০ ফুটের স্থলে স্থানভেদে ৬০ থেকে ৭০ ফুুট, কল্যাণপুর ‘ক’ খালের বিশাল অংশে এখন সরু ড্রেন, রূপনগর খাল ৬০ ফুটের স্থলে ২৫ থেকে ৩০ ফুট, কাঁটাসুর খাল ২০ মিটারের বদলে ১৪ মিটার, ইব্রাহিমপুর খালের কচুক্ষেত সংলগ্ন মাঝামাঝি স্থানে ৩০ ফুটের স্থলে ১৮ ফুট রয়েছে। এসব খালের অধিকাংশ স্থানে প্রভাবশালীরা দখল করে বহুতল ভবন, দোকানপাট ও ময়লা আবর্জনায় ভরাট করে রেখেছে।

বিলীন হওয়ার পথে যেসব খাল

নবোদয় প্রধান সড়কের ৮ নং রোড থেকে রামচন্দ্রপুর খাল শুরু। খালটির এ অংশ থেকে ৬০০ মিটার পর ওয়াসা পাম্পসংলগ্ন অংশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও ময়লা আবর্জনার স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এ খালপাড়ের ৩০ ফুট জায়গা ভরাট করে রাস্তা তৈরি করেছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া নবোদয় প্রধান সড়কের ১০ নং রোডের সুনিবিড় হাউজিং বিশাল অংশ দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে।

ডিএনসিসির ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের বিশাল অংশজুড়ে কাঁটাসুর খালের অবস্থান। এ খালটির দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭১৫ মিটার। বর্তমানে খালের শুরুর অংশে ১৪ মিটার এবং শেষাংশে ২০ মিটার প্রস্থ রয়েছে।

এ খালটির ১৬৫/৫, পুলপার ৬৭/৫ পশ্চিম কাঁটাসুর, ২৫২/১ বসিলা রোড, বেড়িবাঁধ রোড কালভার্ট, মোহাম্মদপুর হাউজিং, নবোদয় হাউজিং ও ৩ নং রোড কালভার্টের দক্ষিণ পাশে খালের মধ্যে একটি মসজিদ ও একটি গির্জা গড়ে উঠেছে। এসব এলাকায় ৬০ ফুট প্রস্থের স্থলে ৩০ ফুট রয়েছে। কসাইবাড়ী খালের অস্তিত্বই নেই। উত্তরার দক্ষিণ আজমপুর থেকে শুরু হয়ে কসাইবাড়ী হয়ে মোল্লারটেক পর্যন্ত বিস্তৃতি ছিল এ খালটির। এটি এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ছিল আট হাজার মিটার এবং প্রস্থ ১০ থেকে ১২ মিটার আছে। কল্যাণপুর ‘খ’ খাল কাগজে-কলমে ৪০ ফুট হলেও অনেক জায়গায় খালের কোনো অস্তিত্ব নেই। শীতলক্ষ্যা নদী হতে উৎপন্ন হয়ে ক্রমশ সরু হয়ে ঘোপদক্ষিণ মৌজার পশ্চিম প্রান্তে বাওয়ানী জুট মিলের ভেতরে গিয়েছিল ঘোপদক্ষিণ খাল। এ খালটির অস্তিত্বই নেই। দখল-বেদখল, উচ্ছেদ আর উদ্ধারের নানা নাটকীয়তায় যুগ যুগ পার হলেও রাজধানীর প্রাণ ফেরাতে কোনো প্রতিষ্ঠানই এখনো আন্তরিকতা নিয়ে খাল উদ্ধারে কাজ করছে না। এই অপারগতাই যে আগামীর ঢাকার জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনছে তা নিয়ে শঙ্কিত এই নগরের বাসিন্দারা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads