• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
২০ রোজার মধ্যে বেতন-বোনাস না হলে কঠোর কর্মসূচি

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

২০ রোজার মধ্যে বেতন-বোনাস না হলে কঠোর কর্মসূচি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ মে ২০১৯

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা ২০ রোজার মধ্যে বেসিকের সমপরিমাণ ঈদবোনাস ও মে মাসের মজুরিসহ সব বকেয়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে এই দাবি পূরণ না হলে শিল্পাঞ্চলগুলোতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। সমাবেশে নেতারা বলেন, বেসিকের সমান বোনাসের দাবি অন্য বছরের মতো এবারো যাতে সর্বত্র উপেক্ষিত না হয়।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ বলেন, দেশে সবচেয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন গার্মেন্ট মালিকরা, কিন্তু শ্রমিকদের পাওনার কথা এলে তারাই সবচেয়ে বিত্তহীন হয়ে যান। অথচ মালিকরা ঈদ উপলক্ষে কানাডা-আমেরিকা-মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান কেনাকাটা ও ঈদ উদযাপনের জন্য। প্রতিবছর ঈদ উৎসবের সময় গার্মেন্ট শ্রমিকরা উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত হন। তিনি বলেন, ২০ রোজার মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা না হলে ঈদের আগে শ্রমিকদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হবে। সংকট নিরসনে সরকারি সংস্থাগুলোর নির্বিকার ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

আগামী জাতীয় বাজেটে গার্মেন্ট শ্রমিকদের আবাসন, রেশনিং ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়ে এই শ্রমিক নেতা বলেন, যে শ্রমিকদের শ্রমে আর অবদানে দেশের অর্থনীতি সচল আছে তাদের জন্য আজ পর্যন্ত কোনোদিন পৃথক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অথচ মালিকরা কর রেয়াত, শুল্ক অবকাশসহ সব প্রণোদনা ভোগ করেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, কিছু কারখানায় বোনাস দেওয়া হলেও তা নামমাত্র, কখনো কখনো দান-খয়রাতের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। দেশে জনপ্রশাসন ও সেবা খাতে এবং সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মূল মজুরির সমান উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। অথচ সিংহভাগ রপ্তানি আয়ের কারিগর, সর্ববৃহৎ উৎপাদন খাত গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকরা বরাবরই বঞ্চিত। তিনি বলেন, গাজীপুরের ইন্ট্রামেক্স, ওয়ার্কফিল্ড, নারায়ণগঞ্জে এ আর জেড, কুমিল্লায় আসিফ গার্মেন্ট ও সিডি এক্রোলিক, রামপুরায় ড্রাগন সোয়েটার, নন্দীপাড়ায় সিসিলি, উত্তরায় অনলি ওয়ান ফ্যাশন, ম্যাডলেফ অ্যাপারেলস, পলমল গার্মেন্ট, টিআরজেড, রেভেনট্রেক, টপ জিন্স, ব্লু ঈগল, সুপারটেক্স এবং আশুলিয়ায় স্প্রিং সোয়েটার, সেঞ্চুরি গার্মেন্ট, ডং লেয়ার, পিএমএফ, মদিনা প্যাল ফ্যাশন কারখানাসহ কয়েক শ কারখানায় ইতোমধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন না করা ও কয়েক মাসের বকেয়া মজুরি নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে।

২০ রমজানের মধ্যে বেসিকের সমান ঈদবোনাস ও মে মাসের সম্পূর্ণ মজুরিসহ সব বকেয়া পরিশোধ না হলে শিল্পাঞ্চলগুলোতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে এবং শ্রমিক নেতা এমএ শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার, কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, দুলাল সাহা, দিলীপ নাথ, জালাল হাওলাদার, কে এম মিন্টু, মঞ্জুর মঈন, জয়নাল আবেদীন, কালিয়াকৈর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম, রানা প্লাজা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইমদাদুল ইসলাম, কারখানা শ্রমিক রীনা আক্তার, বাবুল হোসেন, মালেকা বেগম, শামীম আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads