• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
একসঙ্গে কাজ করবে রাজউক-বিএলডিএ

রাজউকের নতুন চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বিএলডিএ মহাসচিব মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন। এ সময় অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি এম এম এনামুল হক ও কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সঙ্গে ছিলেন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মহানগর

একসঙ্গে কাজ করবে রাজউক-বিএলডিএ

বিএলডিএ নেতাদের সঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যানের বৈঠক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ মে ২০১৯

পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব ও সুন্দর নগরী গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও আবাসন খাতের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ)। সাধারণ মানুষের আবাসন নিশ্চিত করতে হাতে হাত রেখে কাজ করবে সংস্থা দুটি।

গতকাল রাজউক ভবনে সংস্থাটির নতুন চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএলডিএ’র নেতারা। এ সময় রাজউকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ায় সুলতান আহমেদকে শুভেচ্ছা জানান তারা। বিএলডিএ মহাসচিব মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন, প্রথম সহ-সভাপতি আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এম এনামুল হক ও কোষাধ্যক্ষ নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বৈঠকে অংশ নেন।

সভার শুরুতে বিএলডিএ মহাসচিব বলেন, রাজধানীর উন্নয়নে ও পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে রাজউকের ভূমিকা অনেক। আমরা বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা মানুষের মৌলিক চাহিদা আবাসনের জোগান দিতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। এখানে দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করতে চাই। পরিবেশবান্ধব, পরিকল্পিত ও নিরাপদ নগর গড়ে তুলতে একে অপরের সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করতে চাই। রাজউক নীতিমালা দেবে। আমরা সেই নীতিমালা মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রাজউক চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বিএলডিএ নেতারা বলেন, সরকার আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থার চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে। আপনি যোগ্য বলেই আপনাকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এ আবাসন খাতের অবদান ৭ শতাংশ। জাতীয় অর্থনীতিতে আমরা অবদান রাখছি। আবাসন খাতের সঙ্গে ৩৯০টি শিল্প জড়িত। প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ এখানে রয়েছে। সরকারকে আমরা বিপুল পরিমাণ রাজস্ব জোগান দিয়ে যাচ্ছি। এই খাতের প্রসারে রাজউক আরো আন্তরিকভাবে উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে বলে আমরা মনে করি।

এর জবাবে রাজউকের নতুন চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ বলেন, সরকারের একার পক্ষে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বেসরকারি খাতের অবদান রয়েছে। তবে এখানে রাজউক ও ব্যবসায়ীরা আলাদা নয়। একসঙ্গে এই খাতের উন্নয়নে আমরা কাজ করব।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, আবাসন খাতে এক ধরনের স্থবিরতা চলছে। এটি কাটিয়ে উঠতে হবে। আমরা আমাদের কার্যক্রম ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী দিনগুলোতে ব্যবসায়ীরা যাতে ঘরে বসেই রাজউকের সেবা পান, সে ব্যাপারে উদ্যোগ  নেওয়া হবে।

এসময় বিএলডিএ মহাসচিব মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন বলেন, এই খাতে মানুষের বিনিয়োগ করার সুযোগ দিতে হবে। মানুষ যাতে ভীতি ছাড়া প্লট কিংবা ফ্ল্যাট কিনতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সামর্থ্যবান মানুষ বিদেশে টাকা পাচার করবে। বিদেশে বাড়ি কিনবে কিংবা ফ্ল্যাট কিনবে। এছাড়া জমির উচ্চ নিবন্ধন ব্যয়ের কারণে অনিয়ম ও দুর্নীতি উৎসাহিত হচ্ছে। আমরা চাই নিবন্ধন ব্যয় কমিয়ে অর্ধেক করা হোক। তাহলে মানুষ জমির প্রকৃত মূল্য গোপন করা বন্ধ করবে।

বিএলডিএ কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, একই এলাকায় ভবনের অনুমোদনে ভিন্নতা রয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন বহুতল হয়। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে সেটি করতে দেওয়া হয় না। এমন দ্বৈত আচরণ বন্ধ করতে হবে।

বিএলডিএ নেতারা বলেন, কিছু মানুষ অহেতুক আমাদের বিনিয়োগ নিয়ে সমালোচনা করেন। তারা বাস্তবতা না বুঝে কথা বলেন। এই খাতের ব্যবসায়ীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। অথচ বদনাম করা হয় না জেনে। আমরা নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট করতে কোনো প্রকল্প হাতে নিই না। আগামীতেও এমন কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না।

এসময় রাজউক চেয়ারম্যান সুন্দর নগরী গড়তে ব্যবসায়ীদের আরো ভালো প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে বলেন।

বিএলডিএ সদস্যরা প্রতি বছর ১৫ থেকে ১৭ হাজার প্লট সরবরাহ করে থাকেন। প্রবাসীরা এসব প্লটের ক্রেতা। ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে প্রতি বছর। কিন্তু দেশের আবাসন খাতে এক ধরনের স্থবিরতা চলছে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দেশের আবাসন খাতকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে। সরকারের সহায়তা ছাড়া এই খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। তাই এরই মধ্যে বিভিন্ন আলোচনায় ব্যবসায়ীরা আগামী বাজেটে আবাসন খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা করার দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads