• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
গাড়ি রাখার জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকবে না

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

গাড়ি রাখার জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকবে না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৯

রাজধানীর রাস্তায় পাশের ভবনগুলোতে গাড়ি রাখার জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান বা অন্য কিছু থাকলে তা অপসারণ করতে ভবন মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তা অপসারণ না করলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে তা করতে রাজউককে নির্দেশও দেওয়া হয় ।

এ-সংক্রান্ত রিট মামলায় জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রায় দেন। রায়ে আদালত বলেছেন, রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান বা অন্য কিছু থাকলে তা অপসারণে ৩০ দিনের মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

সে সঙ্গে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের বিষয়ে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজ নিজ এলাকায় মাইকিং করবেন।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অননুমোদিত কার পার্কিং উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ নিতেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।

আদালতের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রতি তিন মাস পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিকের করা এক রিট আবেদনে এ রায় এলো। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হোসেন ও মো. শাহজাহান।

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল পরে সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তার পাশে যেসব ভবন আছে, সেসব ভবনে রাজউক গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু অনেক ভবন মালিক ওই জায়গায় দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। ফলে সেসব ভবনের গাড়িগুলো রাস্তায় রাখতে হচ্ছে। এতে ঢাকা শহরের রাস্তাগুলোয় ভয়াবহ জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিকদের চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আবেদনে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ওই রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রাস্তার পাশে ভবনের অনুমোদনহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।

পূর্ত সচিব, ঢাকার দুই মেয়র, রাজউক চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে কোন কোন ভবনে কার পার্কিংয়ের জায়গায় নকশাবহির্ভূত স্থাপনা রয়েছে তার তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করতে রাজউককে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশের পর রাজউক গুলশান, বনানী, বারিধারা ও মহাখালী এলাকার কয়েক শ ভবনের তালিকা দাখিল করে। চার বছর পর সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল রায় দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads