• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রাজধানীতে বড় দুই রুটে বন্ধ হচ্ছে রিকশা-লেগুনা চলাচল

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

রাজধানীতে বড় দুই রুটে বন্ধ হচ্ছে রিকশা-লেগুনা চলাচল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৯

যানজট নিরসনে রাজধানী ঢাকার বড় দুই রুটে বন্ধ হতে যাচ্ছে রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচল। গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে একদিকে আজিমপুর পর্যন্ত, অন্যদিকে সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এবং কুড়িল থেকে রামপুরা ও খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক রকিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিটিসিএর একটি কমিটি গঠিত হয়, যার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে রিকশা, লেগুনা ও হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন অবৈধ এবং অননুমোদিত যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর দুটি রুটে-কুড়িল থেকে খিলগাঁও রামপুরা হয়ে সায়েদাবাদ এবং গাবতলী থেকে আসাদগেট মিরপুর রোড হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে রিকশার পাশাপাশি অন্য সব অবৈধ যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে। একই সঙ্গে এসব সড়কের দুপাশে ফুটপাত দখল করে স্থাপনা এবং অবৈধভাবে নির্মিত ভবন এবং অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি। 

এসব সড়কের দুপাশে ফুটপাত দখল করে যেসব স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ডিএসসিসি নিজ নিজ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অপসারণ করবে। যেসব ভবন অবৈধভাবে ও বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে এবং যেগুলো ফুটপাতে পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে সেগুলো রাজা রামমোহন আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভেঙে দেবে। সার্বিক পরিস্থিতি পরবর্তী সাত দিন আমরা পর্যবেক্ষণ করে আর একটি বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

তবে রিকশা এবং এসব যানবাহন বন্ধের কারণে নগরবাসীদের যাতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, তার জন্য সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিআরটিসি এবং পরিবহন মালিক সমিতি। যাত্রীদের চলাচলে সড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণ যানবাহনের ব্যবস্থা তাদের পক্ষ থেকে রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মনোপলি বা ডিক্টেটরশিপের সুযোগ নেই। পুরো প্রক্রিয়াটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads