ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে ডিএনসিসি আওতাধীন কুড়িল থেকে মালিবাগ (প্রগতি সরণি) এবং গাবতলী থেকে আসাদগেট (মিরপুর রোডের একাংশ) পর্যন্ত প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল করতে পারবে না।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিএনসিসির আওতাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে এ ঘোষণা দেন মেয়র।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই শহর এত দিন ম্যানুয়াল ছিল। এখন দেশ উন্নত হচ্ছে। উন্নত হচ্ছে শহর। বাড়ছে জনসংখ্যার পরিমাণ। তাই আমাদের এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য মেকানিক্যাল সিস্টেমে যেতে হবে। একটি সড়কে ম্যানুয়াল এবং মেকানিক্যাল সিস্টেম একই সঙ্গে চলতে পারে না। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেসব সড়কে যান্ত্রিক পরিবহন চলে সেসব সড়কে রিকশা চলতে দেওয়া হবে না। রিকশার কারণে যে শুধু যানজট হচ্ছে তা নয়, দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে।
তিনি বলেন, আমরা শহর থেকে রিকশা তুলে দিচ্ছি, তা কিন্তু নয়। আমরা বলছি শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যেন রিকশা না চলে। এতে কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে যে- শহর থেকেই রিকশা তুলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। এছাড়া আমরা অবৈধ রিকশা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছি। আর বৈধ রিকশাগুলো ডিএনসিসির প্রধান সড়কের সংযুক্ত ৭৪ নেটওয়ার্কিং রোডে চলবে।
ফুটপাত উন্মুক্ত রাখতে হুশিয়ারি দিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে রিকশার পাশাপাশি রোববার (আজ) থেকে ডিএনসিসির সব এলাকায় যেখানেই ফুটপাত দখল থাকবে, সেখানে হাজির হবেন আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। আমরা এরই মধ্যে গণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফুটপাত দখলদারদের অবহিত করেছি। কাল (আজ) থেকে কোথাও যদি ফুটপাত দখল দেখা যায়, সে যেই হোক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
যানজটের জন্য শুধু রিকশা দায়ী নয়, অবৈধ সিএনজি ও লেগুনাও দায়ী- এগুলো সরানো হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রিকশার পাশাপাশি অবৈধ সিএনজি অপসারণের কার্যক্রমও চলবে। সে সঙ্গে লেগুনা সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হবে।
