• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুর আবাস ধ্বংস করা হবে : ডিএসসিসি মেয়র

ফাইল ছবি

মহানগর

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুর আবাস ধ্বংস করা হবে : ডিএসসিসি মেয়র

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৫ জুলাই ২০১৯

চলতি মাসেই সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুর আবাস বা জন্মস্থান ধ্বংস করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

আজ সোমবার ডিএসসিসি’র আয়োজনে নগর ভবনে ‘বিশেষ প্রাথমিক সেবাপক্ষ ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সাঈদ খোকন বলেন, ‘ডিএসসিসির পক্ষ থেকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে নাগরিকদের ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চিকিৎসাসেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। ৬৭টি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। বিভিন্ন এলাকায় ৪৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যকর্মীরা অবস্থান নেবেন, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবেন।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন মনে করলে, তারাই সকল ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি ঘরে রেখে সুস্থ করানো যায় তাহলে সেই হিসেবে চিকিৎসাসেবা দেবেন।

মেয়র বলেন, ডেঙ্গু এ বছর বেশি থাকলেও চিকুনগুনিয়ার সংখ্যা কম। তবে ডেঙ্গুতে আতঙ্কিত হবার কারণ নেই, ডেঙ্গু রোগ সেরে যায়। এতে আতঙ্কিত হবার বা ভয় করার কোন কারণ নেই। ডিএসসিসি থেকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি অলি-গলিতে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্প করা হচ্ছে। এমনকি ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে পুরহিতরা জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ডেঙ্গু প্রতিহত করব। যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ডেঙ্গুমুক্ত নগরী না হবে আমরাও হাল ছাড়ছি না।’

মেয়র বলেন, এবার ৪ হাজার ২৪৭ জন নাগরিক বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এরা শুধু ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নাগরিক নয়, এরা দেশের বিভিন্ন এলাকার। ডিএসসিসিতে ৭ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৪ জন, যাদের ৩৪ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সময় যত যাচ্ছে রোগীর সংখ্যা তত কমে আসছে।

আজ থেকে ডিএসসিসির স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠে থাকবেন। ডেঙ্গু ছাড়াও অন্য কোন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন হলেও হটলাইন ০৯৬১১০০০৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে স্বাস্থ্যকর্মী বাসায় চলে যাবে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহমেদ। এছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাব-এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসাররা এ সময় বক্তব্য রাখেন।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads