• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
প্রস্তুত কোরবানির হাট, অপেক্ষা বিক্রির

ছবি : সংগ‍ৃহীত

মহানগর

প্রস্তুত কোরবানির হাট, অপেক্ষা বিক্রির

  • নাজমুল হুসাইন
  • প্রকাশিত ০৩ আগস্ট ২০১৯

কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য প্রস্তুত রাজধানীর পশুর হাটগুলো। তবে এখনো ক্রেতার আনাগোনা শুরু হয়নি সেখানে। গতকাল শুক্রবার থেকে ওইসব হাটে পশু আসতে দেখা গেছে। তবে ঢাকার একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে এখনই প্রচুর পশু এসে পৌঁছেছে। কিছুটা ভিন্ন চিত্র অস্থায়ী হাটগুলোর। সেখানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গবাদিপশু আসতে আরো দু-এক দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সাধারণত ঈদের এক সপ্তাহ আগ থেকে হাটে পশু আসতে শুরু করে। এই সময় মাথায় রেখে আগে হাটগুলোর সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে।

সরেজমিন গতকাল বৃহস্পতিবার মেরুল বাড্ডা (আফতাবনগর) গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। কয়েক ট্রাক গরুও এসেছে সেখানে। তবে ক্রেতা নেই বললেই চলে। ওই হাটের ইজারাদার নবী হোসেন রনী বলেন, এখানে কেনাবেচা ৮ তারিখ থেকে শুরু হবে। আর পশু আসছে আজ থেকে। এ বছর বিক্রি শুরুর আগ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ হাজার পশু আসবে বলে আমরা আশা করছি। 

অন্যদিকে তার থেকেও একটু বেশি জমজমাট ভাটারা (সাঈদনগর) এলাকার হাটটি। সেখানে অবকাঠামোর কাজ শেষ। গতকাল এসে পৌঁছেছে দুই শতাধিক গরু। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৭ আগস্ট থেকে এসব হাটে পশু বেচাকেনা শুরু হবে, চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। আর হাট প্রস্তুত করতে ৫ ও ৬ আগস্ট ইজারাদারদের সময় দেওয়া হলেও এরই মধ্যে কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে জানান ওই হাটের ইজারাদার ইকবাল হোসেন খন্দকার।

তিনি বলেন, সাধারণত হাটে ঈদের সাত দিন আগ থেকে গবাদিপশু আসতে শুরু করে। তিন-চার দিন আগে এর পরিমাণ বাড়ে এবং বেচাকেনা শুরু হয়। সেই হিসাবেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

হাটসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছরের মতো হাটে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি চারপাশে যথেষ্টসংখ্যক নজরদারি টাওয়ারও নির্মাণ করা হয়েছে। হাটের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ পোশাকের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া হাটগুলোতে থাকবে সিসি ক্যামেরা ও জালনোট শনাক্তকরণের যন্ত্র।

২৪ স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট : গাবতলীর বাইরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার মোট ২৪ স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে ১০টি হাট বসেছে। এসব হাটে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে থাকবে পশু চিকিৎসকদের দল।

সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর সিটির স্থায়ী গাবতলীর হাট ছাড়া ৯টি হাটের সর্বোচ্চ ইজারা দর ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা। আর দক্ষিণ সিটির ১৪টি হাটের সর্বোচ্চ ইজারা দর ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এ বছর ২৩টি হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে ২২ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৭ টাকায়।

ডিএনসিসি এলাকার হাটগুলো হলো—উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ ও ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের ফাঁকা জায়গা, ভাটারা পশুর হাট, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কসংলগ্ন (বসিলা), মিরপুর সেকশন-৬, মিরপুর ডিওএইচএসসংলগ্ন উত্তর পাশের খালি জায়গা, বাড্ডার আফতাবনগর, কাওলা-শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা ও ভাষানটেক রাস্তার নির্মাণাধীন অব্যহূত ও পরিত্যক্ত অংশ এবং পাশের খালি জায়গা।

তবে এবার ডিএনসিসির অধীন ৩০০ ফুট এলাকার হাটটি বসছে না। এটি ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও পরে ভূমিসংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে ডিএসসিসি এলাকার ১৪টি হাট হলো—উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘের মাঠসংলগ্ন জায়গা, ঝিগাতলা-হাজারীবাগ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠসংলগ্ন জায়গা, কামরাঙ্গীরচর বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন খালি জায়গা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সামসাবাদ মাঠসংলগ্ন জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন গোপীবাগ বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, শনির আখড়া ও দনিয়া মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ৪১ নম্ব্বর ওয়ার্ডের কাউয়ারটেক মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দাওকান্ডি ইন্দুলিয়া ভাগাপুর নগর ও আশপাশের খালি জায়গা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads