• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ফের বন্ধের ফাঁদে বাণিজ্য মেলা

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

ফের বন্ধের ফাঁদে বাণিজ্য মেলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ জানুয়ারি ২০২০

সিটি করপোরেশনের ভোটের সময় আবারো দুদিনের জন্য বন্ধ থাকবে বাণিজ্য মেলা। আগামী ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মেলা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল। প্রতিবছর নিরবচ্ছিন্ন মেলা চললেও এ বছর বারবার ছুটির ফাঁদে পড়ছে মাসব্যাপী এ আয়োজনটি। এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধনের কারণে প্রথমে দুই ঘণ্টা বিরতি আর দুদিন পরে ছুটির দিন শুক্রবার মেলা বন্ধ ছিল। বারবার মেলা বন্ধের কারণে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। শেষ সময় আবারো বন্ধের কারণে অনেকেই লোকসানের শঙ্কা করছেন।

জানা গেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে-পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করতে হবে। ভোটের দিন ঢাকায় প্রায় ২৫ হাজার পুলিশ সদস্য, ১ হাজার এপিবিএন সদস্য ও ৩৫ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা প্রয়োজন হবে। সেই কাজ যেন ব্যাহত না হয় সে জন্যই পুলিশ ও আনসারদের মেলার দায়িত্ব থেকে ছাড়িয়ে আনতে এই নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে ইসি।

ডিএমপি বলছে, বাণিজ্য মেলায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হাজার ২০৫ জন সদস্য ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন রয়েছে। ভোটের দিন এই বিপুলসংখ্যক সদস্যের প্রয়োজন পড়বে। তবে নির্বাচন ডিউটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করে বাণিজ্য মেলার জন্য আলাদা ফোর্স মোতায়েন করা সম্ভব হবে না। এসব বিষয় বিবেচনা করে বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইসির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম সাংবাদিকদের বলেন, ডিএমপির এ সংক্রান্ত চিঠি এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিবের কাছে আমরা পাঠিয়েছি। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

এদিকে মধ্যভাগে এসে চরম জমে উঠেছে মেলার ২৫তম আসর। এর মধ্যে গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল প্রচুর। এতে মেলার আশপাশের রাস্তাগুলো লোকে- লোকারণ্য হয়ে যায়। সকালে মেলার গেট খোলার পর থেকেই ভিড় শুরু হয় কাউন্টারগুলোতে। বিকাল নাগাদ ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে।

বিকাল ৪টায় সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিটি মেলার গেটের কাউন্টারে লাইন রয়েছে। এর আগে চলতি আসরে এত মানুষের ভিড়ে দেখা যায়নি। এতে মেলার প্রবেশদ্বারে পা ফেলার জায়গা নেই। ভেতরেও থইথই করছে মানুষ।

এমন পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান প্যাভিলিয়নের বিক্রেতা বিল্লু রায় বলেন, সারা সপ্তাহে যা বিক্রি হয়, তার চেয়ে শুক্রবারে বিক্রি বেশি। কিন্তু এর আগে শুক্রবার বন্ধ ছিল। তার আগেরটা ছিল বৃষ্টির বাগড়া। সব মিলে আজ (গতকাল) সবচেয়ে বেশি ভিড়। ক্রেতা বাড়ায় বিক্রিও প্রচুর বেড়েছে। 

এদিকে আগত ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে ইতোমধ্যে মেলায় শুরু হয়েছে ছাড়ের ছড়াছড়ি। মেলায় অধিকাংশ পণ্যেই ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো। যার মধ্যে পোশাক, আসবাব ও গৃহস্থালি পণ্য, শিশুদের খেলনা, নারীদের গহনা, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, সিরামিক, প্লাস্টিক, পলিমার পণ্যসহ খাবার-দাবারে ছাড় রয়েছে বেশি।

গৃহস্থালি পণ্যের বিক্রেতা লিয়াকত মিয়া বলেন, শুরুর দিকে এবার খুব খারাপ গেছে। গত শনিবারের পর থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দেখা গেছে। কিছুটা বেচা-বিক্রিও হচ্ছে। এই শুক্র-শনি এই দুদিন আরো ভালো বিক্রির আশা করছি। অন্য বিক্রেতারাও কয়েক দিনের কম বিক্রির আক্ষেপ পুষিয়ে নিচ্ছে মেলায়। গতকাল সকাল ১০টায় মেলার দরজা খোলার পর বেলা ১১টার মধ্যেই সরগরম হয়ে ওঠে মেলাপ্রাঙ্গণ। তারপর থেকেই ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads