• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
অবশেষে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

অবশেষে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জানুয়ারি ২০২০

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ‘হাতিরঝিলের ক্যানসার’ নামে অভিহিত তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এ ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম চলবে।

গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, রাজউকের সদস্যবৃন্দ এবং হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক ও রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বিজিএমইএ’র সাবেক কার্যালয় এ ভবনটি ভাঙার কাজ পুরোদমে শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি থেকে। তবে ভাঙার আগে বিপজ্জনক দ্রব্য ও কাচের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে হবে। আর ভাঙা বিজিএমইএ ভবনের সব অংশ নেওয়া হবে রাজধানীর দোলাইপাড়ে। ভবনটি ভাঙার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজকে এ কাজের জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানটিনর সঙ্গে রাজউকের চুক্তিও হয়েছে। আর বিষয়টি মনিটরিং কার্যক্রমের জন্য দুটি মনিটরিং কমিটি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

ভবনটি ভাঙার কাজ উদ্বোধন করে পূর্তমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, হাতিরঝিলের অনুমোদিত এলাকার ভেতরে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে অপরিকল্পিত ও বেআইনিভাবে বিজিএমইএ ভবনটি গড়ে উঠেছিল। চমৎকার ঢাকার ওপর বিষফোড়ার মতো এই ভবন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর আমরা এটি অপসারণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সেই পরিকল্পনায় যাতে আইনগত কোনো ত্রুটি না থাকে সেজন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। টেকনিক্যাল কারণে তারা কাজটি করতে অপারগতা প্রকাশ করায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে ভবনটি অপসারণে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। তারা ছয় মাসের মধ্যে ভবনটি অপসারণ করবে। এ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য বুয়েট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধিসহ নগর ও ইমারত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম করা হয়েছে। এছাড়া রাজউকের নিজস্ব একটি টিমও এ কাজ নিয়মিত তদারকি করবে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে পরিবেশদূষণসহ সকল পারিপার্শ্বিক ক্ষতিকর পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা যান্ত্রিক উপায়ে এ ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবনের প্রতিটি স্তর ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙা অংশ দ্রুত সরিয়ে নিয়ে নির্ধারিত জায়গায় রাখা হবে যাতে কোনোভাবেই প্রাণহানির মতো ঘটনা না ঘটে। এছাড়া ভবনটি ভাঙার কাজে পরিবেশ যাতে বিপন্ন না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সার্বিক প্রস্তুতির পরও বিজিএমইএকে তাদের নিজস্ব মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।  বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে রাষ্ট্রের কোনো অর্থ ব্যয় হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন,  যারা ভবনটি ভাঙছেন তারা নিজেদের খরচে এটি ভেঙে রাষ্ট্রকে অর্থ দিচ্ছেন। হাতিরঝিলের পানিতে দুর্গন্ধ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন পানিতে তেমন দুর্গন্ধ নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads