• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

মহানগর

সময় বাড়বে বাণিজ্য মেলার

  • নাজমুল হুসাইন
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি ২০২০

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে ৩১ জানুয়ারি বন্ধ রাখতে হবে বাণিজ্য মেলা। ফলে যথারীতি এক মাস মেলা চললে ৩০ জানুয়ারির হবে মেলার শেষ দিন। এ কারণে ভোটের পরে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে আরো আট দিন মেলা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থাৎ ভোট ও আগের দিন বন্ধের পরে আবারো আট দিন বাড়তে পারে মেলার সময়।

আবেদনটি আয়োজক সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়য়ে পাঠিয়েছে, যা অনুমোদন হওয়ার সম্ভবনাই বেশি বলে জানিয়েছেন ইপিবির উপ-পরিচালক ও মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রউফ।

তিনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, মেলার সময় বাড়ানোর সম্ভবনা বেশি। কারণ ভোট হচ্ছে পয়লা ফেব্রুয়ারি। এজন্য দুদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বল্পতায় মেলা বন্ধ রাখতে হবে।

তিনি বলেন, মেলার সময় না বাড়িয়ে ৩১ তারিখ বন্ধ রাখলে সে হিসাবে মেলা ৩০ তারিখে শেষ হচ্ছে। এর আগেও এক দিন মেলা বন্ধ ছিল। আবার তিন দিন আধাবেলা বন্ধও পড়েছে এর মধ্যে। এত বন্ধের কারণে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়বেন। এ কারণে সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। তবে কতদিন বাড়ানো হবে সেটা এখনো সুনির্দিষ্ট হয়নি। মন্ত্রণালয় সেটা নির্ধারণ করবে। প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। ফলে এর আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখতে বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার পরে এখনো বন্ধের তারিখ জানানো হয়নি।

তবে ইপিবি সূত্র বলছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাচন পেছানোর কারণে নতুন করে ৩১ জানুয়ারি ও পয়লা ফেব্রুয়ারি (দুদিন) মেলা বন্ধের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে-পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করতে হবে। সেই কাজ যেন ব্যাহত না হয় সে জন্যই পুলিশ ও আনসারদের মেলার দায়িত্ব থেকে ছাড়িয়ে আনতে দুদিন বন্ধের নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে ইসি।

জানা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রায় দেড় হাজার সদস্য মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় মোতায়েন থাকে। ভোটের দায়িত্ব নিতে হলে তাদের বাণিজ্য মেলার দায়িত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে বলে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছে ডিএমপি।

এদিকে বাণিজ্য মেলার সময় বাড়ানো নতুন বিষয় নয়। সাধারণত প্রতি বছরই ব্যবসায়ীরা মেলার সময় কয়েক দিন বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেন। কারণ যৌক্তিক মনে করলে মন্ত্রণালয় মেলার সময় বাড়িয়ে দেয়। এক থেকে ১০ দিন পর্যন্ত মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে এর আগে। এর মধ্যে গত বছরই সবচেয়ে কম সময় (মাত্র এক দিন) বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালে মেয়াদ ৪ দিন বাড়ানো হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে সময় বাড়ানো হয়নি।

মেলায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, এ বছর বাড়তি সময় না পেলে তারা লোকসানে পড়বেন। কারণ মেলার শেষ দিন সরকারি ছুটির দিন অর্থাৎ শুক্রবার রয়েছে। ওই দিনই ভোটের কারণে বন্ধ থাকছে মেলা। তাই মেলার সময় বাড়ানোর বিকল্প নেই।

এদিকে মাসের শেষভাগে এসে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাণিজ্য মেলা। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীতে ঠাসা ছিল শেরেবাংলা নগরের মেলা প্রাঙ্গণ। ক্রেতা-দর্শনাথীদের পদচারণায় মুখর থাকায় বেচা-বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।

বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা যায় বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুরসত নেই, ক্রেতারাও দর কষাকষিতে ব্যস্ত। ধানমন্ডি থেকে আসা নুর মোহাম্মদ বলেন, ছুটির দিনে বোন-দুলাভাই সঙ্গে নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। বেশির ভাগ দোকানে শেষ সময়ের ছাড় চলছে। শীতের পোশাকের দাম কমেছে। তাই আমরা অনেক কিছু কেনাকাটা করলাম।

মেলার এক দোকানের বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ দিনে যে কেনাবেচা হয় তার থেকে ছুটির দিনে কয়েকগুণ বেশি। আর শেষের দিকে এমন শুক্রবারের জুড়ি নেই বেচাকেনার জন্য।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads