• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
বহিরাগতদের ঢাকা ছাড়ার নির্দেশ র‍্যাবের

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

বহিরাগতদের ঢাকা ছাড়ার নির্দেশ র‍্যাবের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩০ জানুয়ারি ২০২০

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভাই-বোন বা আত্মীয় প্রার্থীর ক্যাম্পেইন করার জন্য যারা ঢাকায় এসেছিলেন, তাদের থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, এবার আপনারা চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয়' কোন লোকের অপতৎপরতা আমরা চাই না।’ দুই সিটি নির্বাচনে বহিরাগতদের উদ্যেশে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান‘র (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন। 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারস্থ র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন র‌্যাব ডিজি। আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে র‌্যাব কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র‌্যাব।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আগামী দুদিন জরুরি প্রয়োজনে বাসার বাইরে গেলে সঙ্গে ফটো আইডি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

ডিজি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয়' কোনো লোকের অপতৎপরতা আমরা চাই না। আজ রাতে প্রচারণা শেষ হয়ে যাবে। যদি কেউ থেকেও যান, আশা করবো আপনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। তবে যারা জেনুইন ভোটার তাদের চলাফেরা ভোটদানে সহযোগিতা করবেন। কোন ঝামেলা করবেন না কোথাও জড়ো হবেন না। ইটস আওয়ার ইনস্ট্রাকশন।

তিনি আরো বলেন, মেয়র প্রার্থীরা এখানে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। অনেকে ঢাকার বাইরে থেকে আত্মীয় স্বজন নিয়ে এসেছেন, ক্যাম্পেইন করেছেন। প্রচারণা কিন্তু আজ রাত ১২টার পরে বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আশা করবো যারা বাইরে থেকে এসেছেন, সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য, আপনাদের কাজ শেষ, এবার আশা করবো ঢাকা ছেড়ে চলে যাবেন। আগামী দুদিন অপ্রয়োজনীয় ঢাকা সফর না করতে দেশবাসীকে নিরুৎসাহিত করতে চাই, যাতে শুধু ভোটাররাই চলাফেরা করতে পারেন।

চলে যাওয়ার আহ্বান জানানোর পরও প্রচারণা জন্য ঢাকায় আসা ব্যক্তিরা ঢাকা ত্যাগ না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে র‌্যাব ডিজি বলেন, আমরা ওই পর্যন্ত যাচ্ছি না, ঢাকার বাইরের কেউ ঢাকায় অবস্থান করলে তাদেরকে জেলে পাঠাবো এমন নয়। প্রত্যেকটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। জেল জুলুমের ভীতি আমরা দেখাতে চাই না। আমার মনে হয় না আমার সেই পর্যায়ে রয়েছি। আমরা আহ্বান রেখেছি যাতে করে শহরে যারা জেনুইন ভোটার তারা সহজে শান্তিপূর্ণভাবে ও স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে এবং নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্যই। মূলত শৃঙ্খলা রক্ষায় হচ্ছে আমাদের আহবানের মূল লক্ষ্য কাউকে জেলে পাঠানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে যদি কেউ জেলে পাঠানোর মত কাজ করেন, তাহলে তো জেলেই যাবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads