• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
৪ দফা দাবিতে গ্রামীনফোন শ্রমিকদের লাগাতার অবরোধ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মহানগর

৪ দফা দাবিতে গ্রামীনফোন শ্রমিকদের লাগাতার অবরোধ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ মার্চ ২০২০

বকেয়া আদায়সহ চার দফা দাবিতে গ্রামীনফোনের প্রধান কার্যালয় ‘জিপি হাউস’ অবরোধ করেছে গ্রামীনফোন লি: শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জিপি হাউসের সামনে এ অবরোধ কর্মসূচীতে অংশ নেন শ্রমিকরা।

এর আগে গত ৫মার্চ জিপি হাউসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ে কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঐক্য পরিষদের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীনফোনের শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী অংশ নেন।

গ্রামীনফোন লি: শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো -

১) ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ হওয়া বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি বকেয়াসহ অনতিবিলম্বে প্রদান করতে হবে।

২) বিনা নোটিশে বন্ধকৃত ১২৬জন শ্রমিকের ডিউটি অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে।

৩) বিনা কারণে ওয়্যার হাউজের ৩৮জন শ্রমিকের ২মাস ৮দিনের স্থগিতকৃত বেতন অনতিবিলম্বে প্রদান করতে হবে।

৪) ২০১০ সাল থেকে পাওনাকৃত ডব্লিউপিপিএফ এর লভ্যাংশের ৫শতাংশ হিসেবে ৩০০ কোটি টাকা অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের মাঝে বন্টন করতে হবে।

গ্রামীনফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক লোকমান হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী প্রায় সাতশ শ্রমিক কর্মচারীরা গ্রামীনফোনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদে চাকরি করে আসছেন। এ প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তা শ্রম আইন অনুসরণ না করে শ্রমিকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন, নিপীড়নসহ চাকরিচ্যুত করে আসছে। তারা সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের দেওয়া সিদ্ধান্তও মানছে না। তাই বাধ্য হয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী গত ৮মার্চ রোববার জিপি হাউসে শ্রমিক-কর্মচারীরা জড়ো হন এবং সেখান থেকে যাত্রা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। পরদিন ৯মার্চ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জিপি হাউসের প্রধান ফটকে অনশন করেন শ্রমিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (১০মার্চ) শ্রমিকরা 'জিপি হাউস' অবরোধ করেন।

সর্বশেষ শ্রমিকদের চলমান সমস্যা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ৩জুলাই ২০১৯ তারিখে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহা পরিদর্শক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন। সেখানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান(এমপি)। বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ১৫দিনের মধ্যে উল্লেখিত দাবি আদায়ে গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত এখোনো পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঐক্য পরিষদের নেতারা শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য গত ১৪জানুয়ারী গ্রামীনফোনকে চিঠি দেয়। কিন্ত গ্রামীনফোন তাতে কোন সাড়া দেয় নি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ফেব্রুয়ারী থেকে ৪মার্চ পর্যন্ত শ্রমিকরা বিভিন্ন মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতীকী অনশনসহ গ্রামীনফোনের সিইও এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ৪দফা দাবির স্মারকলিপি প্রদান করে।

এতকিছুর পরেও গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষ পরিষদের নেতাদের সাথে কোনরকম যোগাযোগ না করায় তারা এই অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads