• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
প্রবাসীদের নিয়ে চট্টগ্রামে বাড়ছে আতঙ্ক

প্রতীকী ছবি

মহানগর

প্রবাসীদের নিয়ে চট্টগ্রামে বাড়ছে আতঙ্ক

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০২০

চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গত সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে আসেন মাত্র ৩১ জন। তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯ জন ইতালিফেরত। গত বুধবার রাখা হয় বিদেশফেরত ৬০ জনকে। গত শুক্রবার একদিনেই বিদেশফেরত প্রবাসী আসেন ৫১৮ জন। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আসেন ১১৬ জন প্রবাসী। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট ৯৭৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বলে চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।  করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।

এভাবে ক্রমশই চট্টগ্রামে বিদেশ ফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক, শঙ্কা। তবে বিদেশফেরত প্রবাসীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় এ শঙ্কা আরো বাড়ছে। তা ছাড়া চট্টগ্রামে এখনো করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট না আসায় জনমনে শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে বলে জানা যায়। 

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার ফ্লাইটে ১১৬ জন যাত্রী এসেছেন। আমাদের হিসাবমতে, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৯৭৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। আমরা সবাইকে কঠোর মনোটরিংয়ের মধ্যে রেখেছি।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার করোনা প্রতিরোধে গঠিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভায় পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা শনাক্তের কিট চট্টগ্রামে আসার কথা জানানো হয়। কিন্তু গতকাল রোববার বিকাল পর্যন্ত কোনো কিট আসেনি। তবে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-এর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন ডাক্তার এবং দুজন টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ঢাকায় গেছেন। তারা প্রশিক্ষণ শেষ আজ সোমবার বা আগামীকাল মঙ্গলবার কিট নিয়ে আসার কথা। 

বিআইটিআইডি’র সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, কিট গ্রহণের জন্য ঢাকায় আমাদের প্রতিনিধি গেছেন। তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে আজ অথবা আগামীকাল চট্টগ্রামে আসবেন। তবে সুখবর হলো এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক ৮ জনকে পরীক্ষা করা হলেও কেউ আক্রান্ত হননি।’ 

জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) আইসোলেশনের জন্য ৫০টি বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তা ছাড়া চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০০টি বেড, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত জেনারেল হাসপাতালে ১০০টি বেড, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০টি, রেলওয়ে হাসপাতালে ৩০টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে ৫০টিসহ মোট ৩৫০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তা ছাড়া চমেক হাসপতালের জরুরি বিভাগ ও অন্তবিভাগে পৃথক দুটি হেল্প কর্নার চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads