• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

মহানগর

ওয়ারী’তে ২১ দিনের লকডাউন শুরু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০২০

করোনার বিস্তার রোধে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত পুরান ঢাকার ওয়ারী’তে ২১ দিনের লকডাউন আজ শনিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। লকডাউন চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।

ওয়ারীর যেসব রোড ও গলি লকডাউনের অধীনে থাকবে সেগুলো হলো- টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন)। গলিগুলো হলো- লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র‌্যাংকিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট।

এ সময়ে এসব এলাকায় চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। এলাকার বাসিন্দারা কেউ জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে চাইলে উপযুক্ত প্রমাণপত্র লাগবে। ই-কর্মাসের মাধ্যমে আসা জরুরি জিনিসপত্র বাসা-বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ওষুধের দোকান ব্যতীত দোকান-পাট, বিপণি বিতান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।

অবরুদ্ধ এলাকায় ২১ দিন থাকবে সাধারণ ছুটি। এলাকার সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-কারখানা বন্ধ থাকবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা এসব এলাকায় বসবাস করেন, তারাও থাকবেন ছুটির আওতায়।

পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন শুরুর পর রেড জোনে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না । এসব এলাকার ভেতরে সব ধরনের চলাচল বন্ধ, প্রবেশ বা বের হওয়ার সুযোগ থাকবে নিয়ন্ত্রিত।

‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। এছাড়া এলাকার ভেতরে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। বলধা গার্ডেনের কাছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

লকডাউন কার্যকরের জন্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো টেলিফোনে বাসসকে জানান।

তিনি জানান, লকডাউনের আওতাধীন ১৭টি রোডের মধ্যে ১৫টি রোড ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধু জরুরি যাতায়াতের জন্য দুইটি রোড খোলা রাখা হয়েছে। যে দুটি রোড খোলা রয়েছে এগুলো হলো- টিপু সুলতান রোডের রাংকিন স্ট্রিটের দিকে এবং ফোল্ডার স্ট্রিটের হট কেকের পাশে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের দিকের রাস্তা।

লকডাউন বাস্তবায়নে জনগণকে সচেতন করতে বিগত কয়েকদিন এলাকায় মাইকিং করা হয়। এখানে তিন শিফটে ১শ’ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। এছাড়া করোনা টেস্টের জন্য বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবেন এবং মুমূর্ষ রোগীদের জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সার্বক্ষণিক এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা আছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads