• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট পরিচালনা করতে হবে’

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

মহানগর

‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট পরিচালনা করতে হবে’

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০২০

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সময়ের মধ্যেই উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল আজহা। এ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেক গবাদি পশুর হাট পরিচালনা করতে হবে। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা আলাদা পথ রাখতে হবে। মাস্ক পরিধান ছাড়া বাজারে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।  এটা অমান্য করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ শনিবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণজনিত প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা বিষয়ক বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা কামাল উদ্দীন আরো বলেন, হাটে ইজারাদার কর্তৃক পর্যাপ্ত পরিমানে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুদ রাখতে হবে। জাল টাকা শনাক্তকরণের মেশিন ও ব্যাংক বুথ স্থাপনসহ মলম পার্টি, থুথু পার্টি, অজ্ঞান পার্টি এবং ছিনতাইকারী রোধে আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা এবছর কোরবানির গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করতে বাজারে না গেলে ভালো হয়।

করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রাক্কালে রোগীদেও জন্য চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, হাই ফ্লু ন্যাজাল ক্যানোলা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির সংকট ছিল। বর্তমানে এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোনো কিছুর অভাব নেই। করোনা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে এখনো অনেক সিট খালি রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নিয়ে করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছেন বলেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমে এসেছে। একসময় করোনার নমুনা টেস্টের রিপোর্ট পেতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতো, আর এখন দ্রুততার সাথে মিলছে রিপোর্ট। যাদের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও কিডনিজনিত রোগ আছে তারা আরো সচেতন হলে মানুষ আরো উপকৃত হবে। কোভিড-১৯ ভাইরাস ফুসফুসে পৌঁছার আগেই শেষ করে দিতে হবে। এটি জঠিল হয়ে গেলে মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় আর ফিরে আসেনা।

বিদেশগামীদের কোভিড-১৯ টেস্ট বিষয়ে সচিব বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের লাখ লাখ মানুষ বিদেশে থাকে। যারা ইতোপূর্বে বিদেশ থেকে দেশে এসেছে তাদের বিদেশ যেতে হলে কোভিড-১৯ টেস্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক। ঈদের পরেও অনেক লোক বিদেশ যাবে। এ জন্য তারা করোনা টেস্টের জন্য নির্দিষ্ট সেন্টারে ভীড় করছেন। তাদেরকে কোন ধরণের হয়রানি করা যাবে না, নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট দিতে হবে। কোনো বিদেশ যাত্রী যাতে বিমানবন্দর থেকে ফিরে না আসে সে বিষয়টি আরো গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। অনলাইনে রিপোর্ট দিতে গিয়ে সার্ভারে ত্রুটি দেখালে প্রয়োজনে আইসিটি মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তা সমন্বয় করতে হবে। এ ব্যাপারো করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদেরকে আরো আন্তরিক হতে হবে। সব ধরণের রোগীদের সুচিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার খোলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads