• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
শীতকে সামনে রেখে সেজেছে কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লী

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

শীতকে সামনে রেখে সেজেছে কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লী

  • এরশাদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০২০

আর কিছুদিন পরেই আগমন ঘটবে শীতের। করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা ভালো যাবে এমনটিই আশা করছেন দেশের তৈরী পোষাকের সবচেয়ে বড়ো পাইকারী বাজার কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন গার্মেন্টস পল্লীর কালীগঞ্জ, আগানগর, জেলা পরিষদ মার্কেট, মুসলিম মার্কেট, আলম মার্কেটের কয়েকটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, কারখানাগুলোতে চলছে শীতের পোশাক তৈরির চূড়ান্ত প্রস্তুতি। সব বয়সের মানুষের জন্য নানা ধরনের নতুন আইটেমের পোষাক তৈরিতে দিন-রাত কাজ করছেন এখানকার কারিগররা। ছেলেদের জ্যাকেট, কোর্ট, মেয়েদের সোয়েটার, কার্টিগান, বাচ্চাদের বাহারী রংয়ের শীতের পোষাকসহ সব ই তৈরী হচ্ছে এখানে। নাওয়া খাওয়া ভুলে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন কারিগররা। কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ জামা সেলাই করছেন, কেউ প্যাকেটিং করছেন; কখন সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হচ্ছে তার খেয়াল নেই।

মোহাম্মদ আমজাদ নামে এক কারিগর বলেন, একটা মৌসুমে কাজ করতে পারি নাই। ধার দেনা করে সংসার কারিগর ও নিজের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এই শীতের কাম কইরা সব ধার দেনা শোধ কইরা দিমু।

মোহাম্মদ শফিক নামে আরেক কারিগর বলেন, অনেক দিন ধরে বসা ছিলাম। কাজ করতে পারি নাই। চলতে খাইতে কষ্ট হইসে। আল্লাহ আমাগো মুখের দিকে তাকাইসে। এখন দিন রাতে ওভারটাইম করতাসি।

গার্মেন্টস পল্লীর আগানগর ও শুভাঢ্যায় প্রায় ছয় হাজার সো রুম রয়েছে। এ সকল সোরুম থেকে পাইকারী পোশাক কিনতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। সোরুম গুলোতেও ইতোমধ্যে উঠেছে শীতের বাহারি পোষাক। প্রতিটি শোরুমে ঝুলছে নানা রংয়ের নানা সাইজের শীতের পোষাক। দামে কম সেই সাথে গুণগত মান অনেক ভালো এখানকার শীতের পোষাকের। বাজার ধরার জন্য সব ব্যবসায়ীরা শীতের পোষাক সংগ্রহ করছেন। দেশীয় তৈরি পোষাকের পাশাপাশি বিদেশি পোষাকও সংগ্রহ করেছে ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকানেই টুকটাক কাস্টমারের আনাগোনা চোখে পরছে। শাহীন কালেকশন লিমিটেডের মালিক শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, করোনার কারণে এবার পণ্য কিনতে চায়না যেতে পারিনি। মোবাইলে অর্ডার দিয়ে চায়না থেকে পণ্য আনতে হচ্ছে। ফ্লাইট জটিলতার কারণে প্রতিটি পণ্যে বেশি ট্যাক্স দিয়ে আনতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু পণ্য হাতে পেয়েছি। মার্কেটে ক্রেতা সমাগমও আছে। ইনশাআল্লাহ, করোনার ধাক্কার কাটিয়ে কিছু ক্ষতিও পোষাতে পারব।

কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মুসলিম ঢালী বলেন, আমাদের গার্মেন্টস পল্লী রোজার ঈদের পর পরই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে শীত মৌসুমের বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে শীতের পোষাক এসেছে কম। তাই আমাদের কেরানীগঞ্জের তৈরি পোষাকের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১ সপ্তাহে যে বেচা কেনা হয়েছে এমন চলতে থাকলে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর জন্য আমি ভালো কিছুই দেখছি। গত রমজানে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা হয়তো পোষানো যাবে না। তবে কিছুটা কভার করা সম্ভব হবে। ক্ষতি পোষাতে হলে আগামী রমজানের আগে করোনামুক্ত বাংলাদেশ দরকার।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads