নারীর সাজের ক্ষেত্রে লিপস্টিক খুবই দরকারি। চমৎকারভাবে সাজগোজ করেও শুধু একটুখানি লিপস্টিক না পরলে আপনার সাজ পরিপূর্ণ হবে না একদমই। কিন্তু যেকোনো রঙের লিপস্টিক পরলেই চলবে না, বেছে নেওয়া চাই গায়ের রঙের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই শেড। দিতি আহমেদের কাছ থেকে জেনে নিন লিপস্টিকের কোন শেডটা আপনার ত্বকের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো মানাবে—
গায়ের বর্ণ ফর্সা হলে
অনেকের ধারণা, গায়ের রং ফর্সা হলেই বুঝি সব রঙের লিপস্টিকই মানিয়ে যায়। ফর্সা হলেই যে আপনি সব রং পরলে তা মানানসই হবে, এমন নয়। যেসব মেয়ে ফর্সা, তাদের ত্বকের আন্ডারটোন সাধারণত গোলাপি ঘেঁষা হয়, ফলে গোলাপির নানা শেড তারা চোখ বন্ধ করে পরতে পারেন। হালকা গোলাপি, বেবি পিঙ্ক, ফুশিয়া তাদের উপযোগী। এমনকি একটু চড়া মেকআপ করতে চাইলে বেছে নেওয়া যায় নিয়ন পিঙ্কও। তাই গায়ের রং ফর্সা হলে চোখ রাখুন হালকা রংগুলোর দিকে।
গায়ের বর্ণ শ্যামবর্ণ হলে
অনেকেই মনে করেন শ্যামবর্ণ হলে বোধহয় লিপস্টিকের শেড নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যাবে না। এটা একদমই ভুল ধারণা। সত্যি বলতে শ্যামবর্ণরা খুব সহজেই গাঢ় শেডের লিপস্টিক পরতে পারেন। ওয়াইন, লাল, রাস্ট, কিছু বিশেষ শেডের কমলার মতো লিপস্টিক আপনাদের পক্ষে দারুণ মানানসই।
গায়ের বর্ণ গমরং হলে
মাঝারি গায়ের রঙের মতোই গমরঙা ত্বকেও অজস্র শেডের লিপস্টিক মানিয়ে যায়। কোরাল, রাস্ট, মেরুন, খয়েরি-নানান শেডের লিপস্টিক পরতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তাহলে বেছে নিন নিজের জন্য সবচেয়ে মানানসই রংগুলো।
গায়ের বর্ণ মাঝারি হলে
যাদের গায়ের রং ফর্সার থেকে এক শেড কম অর্থাৎ মাঝারি, তাদের বেশির ভাগেরই হলুদ আর গোলাপি আন্ডারটোন থাকে। ফলে লিপস্টিকের শেড নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রটাও তাদের বিশাল। বেরি, মভ, পিঙ্ক ন্যুড, লাল, কফি ব্রাউন-লিপস্টিকের বিশাল সম্ভার থেকে বেছে নিন পছন্দের রং।
