• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ঘরে বসে উপার্জনের পাঁচ মাধ্যম

প্রতীকী ছবি

মন

ঘরে বসে উপার্জনের পাঁচ মাধ্যম

  • প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মোজাম্মেল আহমেদ

সময়ের সাথে সবকিছুই পাল্টে যাচ্ছে। সবখানেই দেখা দিচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া, রূপ নিচ্ছে নতুনত্বের। কর্মক্ষেত্রও এর বাইরে নয়। নিজের ঘরই হয়ে উঠেছে অফিস বা কর্মক্ষেত্র। কোভিড এবং প্রযুক্তির বিশ্বে ঘরে বসেই উপার্জনের রয়েছে অনেক উপায়

বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। হাতের নাগালেই যেকোনো তথ্য-উপাত্ত। সে জন্য কাজের ক্ষেত্রও অনেকটা আমাদের হাতের কাছেই। সময়ের সাথে সবকিছুই পাল্টে যাচ্ছে। সবখানেই দেখা দিচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া, রূপ নিচ্ছে নতুনত্বের। কর্মক্ষেত্রও এর বাইরে নয়। নিজের ঘরই হয়ে উঠেছে অফিস বা কর্মক্ষেত্র। কোভিড এবং প্রযুক্তির বিশ্বে ঘরে বসেই উপার্জনের রয়েছে অনেক উপায়।

১. ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা অনেক বেশি। বিশ্বায়নের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল বিপণন কার্যক্রম অর্থাৎ আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলোর আবির্ভাব চোখে পড়ার মতো। ফ্রিল্যান্সিংয়ে যদি অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে তাহলে আউটসোর্সিংয়ের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। যখন-তখন আইটি কোম্পানির সাথে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। কারণ কোম্পানি জানেন, দক্ষতার মাধ্যমেই কোম্পানি তার সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যাবে। যুগ এখন ডিজিটাল। সে জন্য বাড়িতে বসেই স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারেন অনলাইনভিত্তিক মার্কেটিংয়ের নানান কাজ। অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজের সুযোগ বাড়ছে। বাড়ি বসে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে যেসব কাজ করতে পারেন, তার মধ্যে রয়েছে কন্টেন্ট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), গ্রাফিকস ডিজাইন, ডাটা অ্যানালাইসিস ইত্যাদি।

২. পরামর্শদাতা

কনসালট্যান্সি বা পরামর্শদাতাও সময় উপযোগী একটি কাজ। যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী বা বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই আপনি কনসালট্যান্সি এজেন্সি খুলে বসতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি যদি সুনামধারী ব্যবসায়ী বা আইনজীবী হয়ে থাকেন, তাহলে ছোট ব্যবসায়ীদের উপদেশ দিতে পারেন। আইনি জটিলতা নিরসনে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পারেন। দক্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস নিতে পারেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন শেখা কোর্স, মোটিভেশনাল বক্তব্য, গানের যন্ত্রাংশ বাজানো শেখানো ইত্যাদির কোর্স করাতে পারেন। আর এ সবই করতে পারেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ, গ্রুপ, ইভেন্ট তৈরির মাধ্যমে। বসে না থেকে শুরু করে দিলেই ছক্কা।

৩. কনটেন্ট রাইটিং

বলা হয়ে থাকে ‘কনটেন্ট ইজ পাওয়ার’। যেকোনো পণ্য বা সার্ভিস গ্রাহকের কাছে যোগ্য হিসেবে তুলে ধরার শক্তিশালী এক উপায় কনটেন্ট। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটারের চাহিদা রয়েছে। কনটেন্ট হতে পারে বিভিন্ন ধরনের। যেমন লেখা, ভিডিও, আলোকচিত্র, ডাটা ইত্যাদি। আপনি যদি একজন ভালো লেখক হন, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি, ব্লগ, ম্যাগাজিন, জার্নাল বা সংবাদপত্রের সাথে যুক্ত হতে পারেন। কোম্পানির সাথে আপনার মিলে গেলেই সাফল্যের জয়জয়কার। এর অধিকাংশ কাজই করা যায় বাড়িতে বসে। এ ছাড়া এখন অনলাইনের বিভিন্ন কোম্পানি ফ্রিল্যান্স লেখকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। ভাড়া করে থাকে। যেসব বিষয়ে লিখতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে সংবাদ, ফিচার, রিভিউ, অনুবাদসহ আরো নানান আকর্ষণীয় বিষয়।

৪. ডিজাইনার

গ্রাফিকস ডিজাইনিং, ভিডিও বা অডিও সম্পাদনা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যানিমেশন অনলাইনের অন্যতম এক আকর্ষণীয় অংশ। ডিজিটাল মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া আসার পর থেকেই অনলাইনে এ ধরনের কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এ ধরনের কাজে দক্ষতা ও পারদর্শিতা দেখাতে পারলে এখানে ক্যারিয়ারও গড়তে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেককেই দেখা যাচ্ছে এ সাইটে ক্যারিয়ার গড়তে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করেও ইউটিউব, ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপের মাধ্যমেও উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ পেতে পারেন খুব সহজে। তা ছাড়া যদি ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরে দক্ষ হন এবং সৃজনশীল হয়ে থাকেন, তাহলে গ্রাফিকস ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়তে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে না। এ ছাড়াও টেলিভিশনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম মনিটর, সিনেমা, নাটক, ভিডিও গেম এবং অন্যান্য মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন অ্যানিমেশন এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টে দক্ষ হওয়ার মাধ্যমে।

৫. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফরম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি কিংবা বিরাট কোম্পানিগুলোও আজ তাদের পণ্য বা সেবা গ্রাহকের কাছে মিনিটেই পৌঁছে দিচ্ছে এই মাধ্যমে। আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা বা ব্যাবসায়ী হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্যই এই প্লাটফরম। এ ছাড়াও যদি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে কাজ করতে পারবেন। যখন-তখন যোগ দিতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে। যে কাজগুলো অনায়াসে বাড়িতে বসেই করতে পারেন। ই-কমার্স সাইট, ফেসবুক পেজ এমনকি সেলিব্রেটি কিংবা প্রভাবশালীদেরও যথাযথ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার জন্য লোকের প্রয়োজন হয়। তখন অনেকেই আউটসোর্স বা ঠিকঠাকমতো পেজটি চালানোর জন্য কাউকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি দক্ষ বা পারদর্শী হলেও লুফে নিতে পারবেন সহজেই। এ ছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে জানেন না। যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে উপার্জন করার মাধ্যম পেয়ে যাবেন। শুধু নিজেকে দক্ষ করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads