গাজীপুরের কালীগঞ্জে গভীর রাতে দেড় বিঘার ২টি পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লক্ষাধীক টাকার মাছ মারা গেছে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ দুই পুকুর মালিক সহোদর শুক্কুর আলী (৯৫) ও আমিনুল ইসলাম পালোয়ান (৫৫)। তারা কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের মৃত বদরুজ্জামান পালোয়ানের ছেলে।

তারা জানান, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত গভীর রাতে তাদের বাড়ীর পাশের দুটি পুকুরে কে বা কারা কীটনাশক প্রয়োগ করে। সকালে পুকুরে মাছ ভাসতে দেখে প্রথমে মাছের রোগ হয়েছে ভেবে বিষয়টি আমলে নেয়নি তারা। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারী) একে একে ভেসে উঠে পুকুরে চাষ করা রুই, কাতল, মৃগেল সিলভার কার্প, তেলাপিয়া, শরপুঁটিসহ সকল প্রকার দেশি মাছ। তবে এ ব্যাপারে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে আইনের আশ্রয়ন নেননি। তবে স্থানীয় জেলে খবর দিয়ে মাছগুলো এক সাথে করে মাটির পুঁতে রাখেন তারা।

তারা আরো বলেন, আসলে আমরা কাউকেই দেখিনি। এখন যদি কাউকে সন্দেহ করে অভিযোগ করি তাহলে হয়তো কিছু মানুষ শুধু শুধু ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাতে ভালো এই অমানুষিক কাজের বিচার আল্লাহই করবে। মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে ঠিক আছে। কিন্তু পুকুরের মাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা?

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের মৃত বদরুজ্জামান পালোয়ানের ছেলে পুকুর মালিক শুক্কুর আলী ও আমিনুল ইসলাম তাদের বাড়ীর পাশের পশ্চিম ও উত্তরের দুটি পুকুরের প্রায় দেড় বিঘার নিজস্ব জমিতে ১ লক্ষাধীক টাকা ব্যয়ে বড় পোনা রুই, কাতল, মৃগেল সিলভার কার্প, তেলাপিয়া, শরপুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করে আসছেন। মাছগুলো কিছু দিন পরেই তিনি বিক্রি করতেন। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত গভীর রাতে কে বা কারা পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে চলে যায়। পরে সকাল থেকে দিনব্যাপী সব মাছ মরে ভেসে ওঠে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এককেএম মিজানুল হক, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।