আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২১
তৈরি পোশাক খাতে গত ছয় বছরে শ্রমিকদের আয় বেড়েছে গড়ে ৬৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে একজন শ্রমিকের গড় আয় ছিল ৬ হাজার ৮২০ টাকা। ছয় বছর পর, ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৪০২ টাকা। এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে আরো বলা হয়, প্রায় ৬২ শতাংশ শ্রমিক গ্রামে টাকা পাঠান এবং তারা যে বেতন পান তার ১০ শতাংশ গ্রামে যায়। এ ছাড়া, একজন শ্রমিক প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার ৮৬৯ টাকা গ্রামে পাঠান বলে উল্লেখ করা হয় জরিপে।তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর উদ্যোগে পরিচালিত জরিপ ভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) পরিচালক ও অর্থনীতির অধ্যাপক একে এনামুল হক । গত শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রতিবেদনের ওপর মতামত দেন বিশিষ্টজনেরা। গত বছরের তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এ জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৬০টি পোশাক কারখানার ১ হাজার ১১৯ জন শ্রমিকের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। এই প্রতিবেদনের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন যতটা বেড়েছে, তাতে তাদের ক্রয়ক্ষমতা তেমন একটা বাড়েনি।’ তিনি বলেন, প্রতি বছর গড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হারে শ্রমিকদের আয় বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় না নিয়ে আয় বাড়ার হিসাবটি করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে দেখা যায়, আয় তেমন বাড়েনি। সিপিডির এই গবেষক বলেন, প্রতি বছর গড়ে ৭ শতাংশ হারে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। সেটার সঙ্গে আয় সমন্বয় করা হলে শ্রমিকদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে না কমেছে, সেটা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যেত। আমি মনে করি ক্রয়ক্ষমতা এতটা বাড়েনি- মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এর উত্তরে অর্থনীতির অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, ‘শ্রমিকদের মাসিক ব্যয়ের ধরন বিশ্লেষণ করলে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন বোঝা যায়। ছয় বছরে খাদ্য বা বাসস্থানে তাদের তেমন ব্যয় বাড়েনি। কিন্তু প্রসাধনী কেনায় অথবা ভ্রমণ ব্যয় বেড়েছে। জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ছয় বছরে বাড়ি ভাড়া এবং বিদ্যুৎ-পানি খাতে শ্রমিকের গড় খরচ ৩ হাজার ৪১০ টাকা থেকে মাত্র ২ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৮৭৮ টাকা হয়েছে। একইভাবে খাবারে ব্যয় বেড়েছে ৪ শতাংশ। কিন্তু প্রসাধনী ক্রয় খাতে খরচ ১২ শতাংশ এবং ঘোরাঘুরিতে ২৩ শতাংশ বেড়েছে। বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘এটাই একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক খাত, যার দিকে আঙুল তোলা যায়। গত বছর বিশ্ববাজারে পোশাকের দাম বাড়েনি, বরং কমেছে প্রায় পৌনে পাঁচ শতাংশ।’ রুবানা হক আরো বলেন, পরিস্থিতি আরো ভালো হতে পারত, যদি বিদেশি ক্রেতারা আমাদের পণ্যের আরো ভালো দাম দিতেন।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১