বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২১

তলানিতে খাদ্য মজুত : উদ্বিগ্ন সরকার


অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে সরকারি খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্যের মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সরকারের খাদ্যগুদামে চালের মজুত ছিল ৪ লাখ ১২ হাজার টন, আর গমের মজুত ছিল মাত্র ৭১ হাজার টন। খাদ্যশস্যের এ মজুত একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, যে কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অন্তত মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ দিনের খাদ্য মজুত রাখতে হয়। সে হিসেবে, আমাদের একদিনের খাদ্য চাহিদা প্রায় ৪৬ হাজার টন, ফলে আমাদের জন্য ৬০ দিনের খাদ্য মজুতের দরকার প্রায় ২৭ লাখ টন। কোনোদিনই বিশাল এ পরিমাণ খাদ্য মজুত আমাদের ছিল না। আর এত খাদ্য মজুত উপযোগী খাদ্য গুদামও আমাদের নেই। সর্বসাকুল্যে ২০-২২ লাখ টন খাদ্য মজুত ধারণ ক্ষমতার খাদ্যগুদাম আমাদের রয়েছে। এর মধ্যে নতুন, পুরাতন বস্তা মজুতের প্রয়োজন হয়। এসব চাহিদার জায়গা বাদ দিয়ে ১৮ থেকে ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্য মজুত রাখা সম্ভব হয় না। আর সরকার আদৌ এত পরিমাণ চাল ও গম মজুত রাখে না। সর্বসাকুল্যে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টন পর্যন্ত খাদ্য শস্য মজুত রাখে সরকার। যেমন গত বছর ৩১ মার্চ সরকারি খাদ্য গুদামে খাদ্য মজুত ছিল ১২ লাখ টনের কিছু কম। কিন্তু এ বছর সরকারের সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে খাদ্যশস্যের মজুত তলানিতে চলে আসে। ফলে ভোক্তার কষ্ট অনেক বেড়ে যায়। এখন স্বল্প আয়ের মানুষেরা মোটা চাল বাড়তি দামে কিনে খাচ্ছে।

যদিও সরকার সাধারণ ভোক্তার স্বার্থে চাল আটার দাম বাড়লে খোলাবাজারে স্বল্পমূল্যে চাল, আটা বিক্রি করে থাকে। কিন্তু সরকারি মজুত কম থাকায় সে কার্যক্রমও ভালোভাবে চালাতে পারছে না। তবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বিপুল পরিমাণ স্বল্প আয়ের সব মানুষতো আর এ চাল পান না। মোদ্দা কথা, সরকারি গুদামে ভালো মজুত না থাকলে সরকারের পক্ষে সামাজিক নিরাপত্তার নানা কর্মসূচিও চালু রাখা সম্ভব হয় না। ফলে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বাড়ে, পরিণামে ভোক্তার কষ্ট বাড়ে। যদিও দেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে অতি যৎসামান্যই সরকার মজুত রাখে। আর বাকি ধান চাল চাষি ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মজুত থাকে। যেখানে বছরে মোট চালের উৎপাদন হয় প্রায় পৌনে চার কোটি টন, সেখানে সরকার সর্বোচ্চ চালের মজুত রাখে ১২-১৩ লাখ টন। এরপরও সরকারের খাদ্য মজুত সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে সরকারের খাদ্য মজুত কমে এলে ভোক্তাবান্ধব বাজার ব্যবস্থা ধরে রাখা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। মূলত সরকারের খাদ্য শস্য মজুত বিমুখ অদূরদর্শিতার শুরু গত বছরের বোরো মৌসুম থেকেই। ওই বছর সরকার ১০ লাখ টন চাল অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের উদ্যোগ নিলেও বাজারে ধান চালের দাম বেশি থাকায় শেষ পর্যন্ত ৬ লাখ ৮০ হাজার টন চাল সংগ্রহ করতে পেয়েছে। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহ পুরোপুরি সফল হয়নি। আবার চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক পঞ্চাশ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকায় চাল আমদানি হয়েছে মাত্র ৪ হাজার টনের মতো। অর্থাৎ আমদানিও হয়নি, আবার অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহেও সংকট। সবমিলিয়ে খাদ্যশস্যের মজুত কমতে শুরু করে। সরকার গত আমন সংগ্রহ মৌসুমে প্রায় ৮ লাখ টন সিদ্ধ ও ৫০ হাজার টন আতপ চাল অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের উদ্যোগ নিলেও ধান চালের বাড়তি দামের কারণে চালকল মালিকদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ চালকল মালিক খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকদের সবাই বাড়তি মূল্যের কারণে সরকারকে চাল দিতেও পারেনি। ফলে খাদ্যশস্যের কাঙ্ক্ষিত মজুতও গড়ে ওঠেনি। আবার তথ্য বিভ্রাটের কারণেও অনেক সময়ই নানামুখী জটিলতার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, দেশে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত আছে, তা দিয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ভোক্তার চাহিদা পূরণ করেও প্রায় ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকবে। বাস্তবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য ছিল অনুমাননির্ভর। এদিকে চালের বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাধ্য হয়ে সরকার নড়েচড়ে বসে এবং ঝড়ের বেগে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়। চাল আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে দুই দফায় কমিয়ে এনে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ চাল আমদানি করতে পারেনি।

খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে কয়েক ধাপে বেসরকারি পর্যায়ে ৩২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিলে চাল আমদানি শুরু হয়। বাস্তবে আন্তর্জাতিক বাজারেও চালের দাম বাড়তে থাকায় আমদানিকারকরা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ চাল আমদানি করতে পারেনি। সরকার সময়সীমা বেঁধে দিলেও কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। উপরন্তু আগ্রহী আরো ৫৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সরকার গত ১ মার্চ ১ লাখ ৮০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। অর্থাৎ বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও পুরো চাল আমদানি হয়নি। বাস্তবে বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে প্রতিটি দেশে কম-বেশি চালের বাজার বেশি ছিল। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এএফও) গত সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আফ্রিকার দেশগুলোতে চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ব বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। আবার চাহিদা বাড়লে দাম বাড়বে, এটাই তো স্বাভাবিক। শেষ পর্যন্ত চালের মজুত বাড়াতে সরকার গত ১০ মার্চ জরুরি ভিত্তিতে জি-টু-জি পদ্ধতিতে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ ও ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এই অনুমতির আওতায় জি-টু-জি পদ্ধতিতে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের সিভিল সাপ্লাইস করপোরেশন লিমিটেড (পিইউএনএসইউপি) থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অফিসের সাকননাখোন ন্যাশনাল ফার্মস কাউন্সিল থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী ও ভিয়েতনামের সাউদার্ন ফুড করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল সরাসরি ক্রয়েরও অনুমতি দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেন, যতদিন পর্যন্ত বাজারে চালের দাম সহনীয় না হয়, ততদিন পর্যন্ত চাল আমদানি অব্যাহত থাকবে। বাস্তবতা হচ্ছে, আমন মৌসুমের শুরুতে সরকার বেসরকারি পর্যায়ে এবং জি-টু-জি পদ্ধতিতে চাল আমদানির এই তাগাদা দিলে এতদিনে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ চাল মজুত করা সম্ভব ছিল। বাস্তবে আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনরা সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান না। কথায় আছে, ‘সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়ের সমান।’ অর্থাৎ সময়ের কাজ সময়েই করতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটলে বিরূপ প্রভাবে ভোক্তার কষ্টও বাড়ে আবার সরকারকেও বিব্রত হতে হবে। তবে বোরো ধান ইতোমধ্যেই হাওরে কাটা শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, বাজারে নতুন ধান উঠলে চালের বাজার কমে আসবে। গত ১ এপ্রিল সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি বোরো ধান কাটা উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বোরো চাল বাজারে এলে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

স্বস্তির খবর হচ্ছে, গত টানা দুবছর কৃষক ধানের বাড়তি মূল্য পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এ বছর ব্যাপকভাবে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আবাদের অবস্থাও ভালো। আশা করা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যে হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ভয় হয়, এই সময়ে শিলাবৃষ্টি, আগাম বন্যা। কারণ হাওর নিচু এলাকা। বাড়তি বৃষ্টি ও আগাম বন্যা হলেই বিপদ। যদিও নির্বিঘ্নে ধান কাটতে সরকার যান্ত্রিকভাবে সহায়তা করছে। যদিও দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাওড়ের ধান কাটা শেষ করা যায়, তাহলে ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে। শুধু হাওরেই নয়, দেশের অনেক নিম্নাঞ্চলে ধান কাটা কম-বেশি শুরু হয়েছে। আর মাত্র ২০-২৫ দিন পর গোটা দেশেই ব্যাপকভাবে ধান কাটা শুরু হবে। এ বছর সরকারকে অভ্যন্তরীণভাবে ধান চাল সংগ্রহকে সফল করে তুলতে হবে, যার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য চালের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে ছোট-বড় সব চালকলকে চুক্তির আওতায় এনে ন্যূনতম ১২ থেকে ১৪ লাখ টন সিদ্ধ ও ২ লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করতে হবে। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের খাদ্য মজুত উপযোগী যে খাদ্যগুদাম আছে, সেখানে আমদানির চাল মজুত হলে স্থান সংকুলানের অভাবে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যে কারণে চাল আমদানির সময়সীমা আর না বাড়ানোই উচিত। কারণ দেশীয়ভাবে ধান চাল না কিনলে কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে এবং ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আর আমাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমদানি নয়, দেশীয়ভাবে উৎপাদনই একমাত্র ভরসা। যে কারণে অভ্যন্তরীণভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযানকে সফল করতে হবে। যদিও অনেক সময়ই যথাসময়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। সিদ্ধান্ত নিতেই সময় ক্ষেপণ হয়ে যায়, পরিণামে সংকট তীব্র হয়। যেহেতু ধান কাটা শুরু হয়েছে, সেহেতু সরকারকে এখনেই ধান, চালের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে কী পরিমাণ ধান চাল অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহ করবে, তা ঘোষণা দিয়ে খাদ্য বিভাগকে প্রস্তুতি নিতে হবে। যেন কোনোভাবেই এ বছর ধান চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে অদূরদর্শিতার পরিচয় দেওয়া না হয়। বরং অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ অভিযানকে সফল করে নিরাপদ খাদ্য মজুত গড়ে তোলাই হবে সঠিক ও সময়োচিত পদক্ষেপ।

পরিশেষে শুধু এটুকুই বলতে চাই, যেহেতু ধান কাটা শুরু হয়েছে, আশা করছি, চালের দামও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসবে। যেহেতু অভ্যন্তরীণভাবে ধান সংগ্রহ করতে হবে, সেহেতু খেয়াল রাখতে হবে, যেন গুদামে স্থান সংকুলানের কারণে আবার অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হয়ে না পড়ে। পাশাপাশি আপৎকালীন খাদ্য মজুত গড়ে তুলতে দেশে খাদ্যগুদামের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা উচিত। যদিও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে দুই মেয়াদে প্রায় ১২-১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত উপযোগী খাদ্য গুদাম নির্মাণ করেছে। আবার পুরনো সব খাদ্য গুদামকেও সংস্কার করেছে। তবু জনসংখ্যার তুলনায় যে পরিমাণ খাদ্যশস্য সরকারিভাবে মজুত রাখতে হয়, সে পরিমাণ খাদ্যগুদামের এখনো যথেষ্ট অভাব রয়েই গেছে। এখন সরকারের তৃতীয় মেয়াদ চলছে। যদিও সরকার খাদ্য মজুতের বিষয়টি মাথায় রেখে সাইলো নির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছে। আমরা মনে করি, শুধু উদ্যোগই নয়, খাদ্যশস্য মজুত উপযোগী খাদ্যগুদাম নির্মাণে সরকারকে গোটা দেশেই, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে আরো বেশি নতুন নতুন খাদ্যগুদাম নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়ে যতদ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ সরকারের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহের সিংহভাগই আসে উত্তারাঞ্চল থেকে। সেচভিত্তিক চাষাবাদের বদৌলতে উত্তরাঞ্চলকে এখন খাধ্যভা্লার বলা হয়। অথচ এই উত্তরাঞ্চলে সাইলোসহ বড় বড় খাদ্যগুদাম থাকার কথা থাকলেও তা নেই। ফলে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ মৌসুমে অনেক সময়ই খাদ্যগুদামে স্থান সংকুলানের অভাবে ধান, চাল, গম, সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হয়। সংগত কারণে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ উপযোগী আরো খাদ্যগুদাম নির্মাণ করে খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপদ খাদ্যশস্য মজুতের পথকে মসৃণ করতে হবে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১