• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

মতামত

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক বিশ্বরাজনীতি

  • প্রকাশিত ০৪ এপ্রিল ২০১৮

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দু’ভাগে বিভক্ত হয় বিশ্বরাজনীতি এবং এই নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্কেরও ঘটেছিল পরিবর্তন। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ভারতের নাম ধরে অভিযোগ করলেও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনকারী দল আওয়ামী লীগের আগে থেকে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। দলটির প্রধান কৃতিত্ব হলো গণহত্যা এবং স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত সরকারের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ ও সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দেশগুলো পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল আর অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা বর্তমান রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো ভারতের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল। এই সোভিয়েত বলয়ের দেশগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে। অন্যতম পরাশক্তি গণচীনের ভূমিকা ছিল প্রশ্নসাপেক্ষ। সাধারণভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিলেও দেশটিকে কোনো সামরিক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনাকালে সংশ্লিষ্ট পাঁচ প্রধান রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক ছিল এ রকম : এক. গণচীনের সঙ্গে ১৯৬২ সালে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬৫ সালে ভারতের যুদ্ধ হয়েছিল। এরপর চীন-সোভিয়েত যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। ফলে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে গভীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল;

দুই. যুদ্ধ ও সীমান্ত সমস্যার কারণে গণচীন এবং পাকিস্তান ভারতকে ‘সাধারণ শত্রু’ মনে করত। ফলে গণচীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ;

এবং তিন. ১৯৫০-এর দশক থেকে পাকিস্তান বিভিন্ন সামরিক জোটে যুক্ত থাকায় এবং সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার সোভিয়েতবিরোধী নতুন শক্তি গণচীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান দূতিয়ালি করায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের  সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত উষ্ণ। কিন্তু পাকিস্তান গণহত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল তাতে বিশ্বজনমত পাকিস্তানের বিপক্ষে চলে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।   

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকেন্দ্রিক ঘটনাপ্রবাহে কূটনৈতিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করে ভারত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার কারণে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। ভারত এই শরণার্থী সমস্যাকে যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক সমাজে তুলে ধরতে পেরেছিল। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শরণার্থী সমস্যাকে প্রাধান্যে এনে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এদিকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপর, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেছিলেন। কৌশলগত কারণে প্রকাশ্যে স্বীকৃতি না দিলেও এই সরকারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস সরকার। ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত সাফল্য অর্জিত হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সেদিন ভারতের নেতৃত্বাধীন ‘বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনী’র কাছে আত্মসমর্পণ করে।

সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের অনুসারী এবং গণচীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতি চাইলেও সোভিয়েত ইউনিয়নও প্রথমেই বাংলাদেশের পক্ষ নেয়নি। ভারতকে একটি সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ করার কৌশল হিসেবে দেশটি বরং ভারতের সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করেছিল। ১৯৬৯ সালে সংঘটিত চীন-সোভিয়েত যুদ্ধের পর থেকেই এ জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু ভারত সম্মত হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত জড়িয়ে পড়ার পর ওই সামরিক চুক্তিকে সমর্থনের পূর্বশর্ত বানিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভারতেরও তখন পাশ কাটানোর সুযোগ ছিল না। ফলে ১৯৭১ সালের ৯ আগস্ট স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২৫ বছর মেয়াদি ভারত-সোভিয়েত ‘মৈত্রী চুক্তি’। এই চুক্তি ছিল ভারতের ওপর সোভিয়েত কূটনীতির বিরাট বিজয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধই ছিল অন্তরালের প্রধান নির্ধারক।

উল্লেখ্য, ‘মৈত্রী চুক্তি’র আগে পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল জাতিসংঘে। ডিসেম্বরে চূড়ান্ত যুদ্ধের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র যখন স্বাধীনতা যুদ্ধকে ‘ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়ন তখন নিরাপত্তা পরিষদে ভেটোর পর ভেটো প্রয়োগ করেছিল। এর ফলে বাংলাদেশের বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন করা অনেক সহজ হয়েছিল।

অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য ভূমিকা ছিল বিভিন্ন সামরিক জোটের সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিনের অনুসারী পাকিস্তানের পক্ষে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করেছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১০৪-১১ ভোটে পাকিস্তানকে জিতিয়েছে এবং শেষ দিনগুলোতে সপ্তম নৌবহর পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে চমক ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু পাকিস্তানের পরাজয় এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। পশ্চিমা দুনিয়ার নেতা বলেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সম্পর্কে কিছুটা বিস্তারিত উল্লেখ করা দরকার। আর্কাইভস আইন অনুযায়ী দীর্ঘদিন গোপন রাখার পর ১৯৯৯ সালে মার্কিন সরকার ‘দি আমেরিকান পেপারস : ইন্ডিয়া-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ডকুমেন্টস ১৯৬৫-১৯৭৩’ নামের প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার একটি গ্রন্থ প্রকাশ করে। এতে ১৯৭১ সালের ১০৮টিসহ মোট ২৯৯টি গোপন দলিল সংকলিত হয়েছে। এসব গোপন দলিলপত্রে দেখা গেছে, দৃশ্যত পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় সততা ছিল না। বরং কিছু কিছু বিষয়ে দেশটির ভূমিকা বাংলাদেশের পক্ষেও এসেছিল। এসবের মধ্যে ছিল বন্দি নেতা ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির ব্যাপারে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে একজন আইনজীবী দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তান সেই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছিল যে, রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে হত্যা করা হবে না।

ভারতের প্রতিও যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল তোষণমূলক। মার্কিন দলিলপত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শান্তির পক্ষে ইচ্ছা ব্যক্ত করায় এবং ভারত আগে যুদ্ধ শুরু করবে না বলে আশ্বাস দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট নিক্সন বিশেষভাবে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এরই পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে সমরাস্ত্র সরবরাহও স্থগিত করেছিল। মার্কিন দলিলপত্রগুলো পড়ার পর মনে হবে, পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ঠিক তেমন গভীর ও প্রশ্নাতীত ছিল না, যেমনটি প্রচারিত হয়ে এসেছে। পাইপলাইন থেকে সমরাস্ত্র প্রত্যাহার, রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য ক্রমাগত চাপ, রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার তাগিদ প্রভৃতির মধ্য দিয়ে এমন ধারণাই শক্তিশালী হবে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করলেও যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়নি।

স্মরণ করা দরকার, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সে সময় গণচীনের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গণচীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মধ্যস্থতা করায় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ার অভিনয় করেছিল। ‘অভিনয়’ বলার কারণ, এই সমর্থন সর্বাত্মক ও আন্তরিক হলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পাকিস্তানকে কার্যকরভাবে সাহায্য করত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে। একে তাই বলে আবার বাংলাদেশ বা ভারতের পক্ষাবলম্বন বলারও উপায় নেই। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ সমঝোতা এবং যুদ্ধ এড়ানোর জন্য ভারতের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে, সময়ে সময়ে ভারতকে প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি দিয়েছে। তারপরও এ কথাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা থেকে সযত্নে ও সুকৌশলে বিরত থেকেছে এবং শেষ পর্যন্তও ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়নি। এভাবে পর্যালোচনায় দেখা যাবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত ভূমিকা ছিল প্রশ্নসাপেক্ষ। বাংলাদেশের বিরোধিতা করার জন্য এটুকুই অবশ্য যথেষ্ট ছিল।

ওদিকে সবচেয়ে বিস্ময়কর ছিল গণচীনের ভূমিকা। সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি চীনের সমর্থন স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু দুই প্রতিবেশী ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় এবং দেশ দুটি বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ানোয় চীন গিয়েছিল পাকিস্তানের পক্ষে। সমাজতন্ত্রসহ বিভিন্ন প্রশ্নে চীন-সোভিয়েত শত্রুতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন সে সময় চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মধ্যস্থতা করায় চীনের পক্ষে বাংলাদেশের পক্ষাবলম্বন সম্ভব ছিল না। এটা অবশ্য শেষ কথা নয়। কারণ, পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যে জানা গেছে, ভারত ও বাংলাদেশবিরোধী কূটনৈতিক তৎপরতার ক্ষেত্রে গণচীন পাকিস্তানের জন্য ‘বেশি দূর অগ্রসর হতে চায়নি’ এবং উপমহাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে নিবৃত্ত রাখার ব্যাপারে দেশটি বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে স্বীকার করতেই হবে যে, চীনের ভূমিকা ছিল নিন্দনীয়। কারণ চীন চাইলে পাকিস্তান গণহত্যা চালাতে পারত না।  

এভাবে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনায় দেখা যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ঘটেছিল। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই শিবিরের নেতৃত্বে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন। ঘটনাপ্রবাহে সবচেয়ে সফল হয়েছিল ভারত, অন্যদিকে সম্পূর্ণ বিপরীত ও ধ্বংসাত্মক পরিণতি বরণ করেছিল পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে প্রকাশ্য কূটনৈতিক সমর্থন বেশি পেলেও পাকিস্তান তার ভাঙন ও পরাজয় এড়াতে পারেনি। সবকিছুর পেছনে নির্ধারকের ভূমিকা রেখেছিল বাংলাদেশের জনগণ। স্বাধীনতার জন্য তাদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের কাছে পাকিস্তান ও তার সমর্থকরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল। বিশ্লেষণের এই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণই আসলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মেরুকরণ ঘটিয়েছিল।

 

শাহ আহমদ রেজা

সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক

ই-মেইল: shahahmadreza@yahoo.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads