গুরুতর অসুস্থ কথাসাহিত্যিক শওকত আলীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
৮১ বছর বয়সী এই সাহিত্যিকের ছেলে আসিফ শওকত কল্লোল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার বাবাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
তার সার্বিক অবস্থা নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় চিকিৎসকরা ব্রিফ করবেন বলেও জানান কল্লোল।
এর আগে ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত সাহিত্যিক শওকত আলীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) নেওয়া হয়।
১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার থানা শহর রায়গঞ্জে জন্ম নেওয়া শওকত আলী ছাত্র জীবনে কমিউনিস্ট আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও কিছুদিন পরে শিক্ষকতায় যোগ দেন তিনি।
বামপন্থিদের ‘নতুন সাহিত্য’ পত্রিকায় লেখালেখি করেন শওকত আলী। এছাড়া দৈনিক মিল্লাত, মাসিক সমকাল, ইত্তেফাকে তার অনেক গল্প, কবিতা ও শিশুতোষ লেখা প্রকাশিত হয়।
কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে একুশে পদক পান শওকত আলী। পরে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, অজিত গুহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার পান।
‘দক্ষিণায়নের দিন’, ‘কুলায় কালস্রোত’ এবং ‘পূর্বরাত্রি পূর্বদিন’ উপন্যাসত্রয়ীর জন্য তিনি ‘ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার’ পান।
তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে, ‘পিঙ্গল আকাশ’, ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’, ‘অপেক্ষা’, ‘গন্তব্যে অতঃপর’, ‘উত্তরের খেপ’, ‘অবশেষে প্রপাত’, ‘জননী ও জাতিকা’, ‘জোড় বিজোড়’।
‘উন্মুল বাসনা’, ‘লেলিহান সাধ’, ‘শুন হে লখিন্দর’, ‘বাবা আপনে যান’সহ বেশ কয়েকটি গল্পগ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন তিনি।