• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে কাজ করছেন কর্মীরা

অন্যান্য

দেশের প্রথম কম্পিউটার কারখানার যাত্রা শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

স্মার্টফোনের পর এবার দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো কম্পিউটার তৈরির কারখানা। ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কারখানার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।


গাজীপুরের চন্দ্রায় নবনির্মিত ওয়ালটন কম্পিউটার কারখানা উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে দেশে প্রথম কম্পিউটার উৎপাদনের যাত্রা শুরু হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতাম পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রযুক্তির কম্পিউটার উৎপাদন করবে বাংলাদেশ। এই স্বপ্ন আজ বাস্তব হচ্ছে।’


ওয়ালটনের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃসাহস ও আকাশের দিকে তাকানোর ক্ষমতা তাদের আছে। দেশে কম্পিউটার সংযোজন হলেও উৎপাদনের মাধ্যমে তারা এ সাহস দেখিয়েছে।’ হাইটেক পার্কে যে সুবিধাগুলো দেওয়া হয় ওয়ালটনকে সেই সুযোগ দেওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন এ বিষয়ে আবেদন করা মাত্র তাদের হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হবে।’ সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও সার্ভিস রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দিতে খুব দ্রুত এসআরও জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।


প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সম্ভবনাকে বাস্তবে পরিণত করেছে ওয়ালটন। দেশে বর্তমানে ৫ লাখ কম্পিউটার আমদানি করতে হয়। সরকারি ক্রয়ে দেশিয় পণ্য উৎসাহিত করা হবে।’ ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হার্ডওয়্যার রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পলক।


এর আগে হেলিকপ্টারে করে ওয়ালটন ডিজি-টেক কারখানায় পৌঁছালে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম।


উদ্বোধন শেষে কারখানার বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে কম্পিউটার উৎপাদন ইউনিটে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের আধুনিক জাপানি ও জার্মান প্রযুক্তি। গড়ে তোলা হয়েছে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ডিজাইন ডেভলপ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব।


প্রাথমিকভাবে এই কারখানায় মাসে ৬০ হাজার ল্যাপটপ, ৩০ হাজার ডেস্কটপ এবং ৩০ হাজার মনিটর উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কম্পিউটারের অন্যান্য অ্যাক্সেসরিজসহ পেন ড্রাইভ, কিবোর্ড এবং মাউস উৎপাদনে যাবে ওয়ালটন।


ওয়ালটনের এই কারখানায় তৈরি হতে যাচ্ছে ইন্টেলের সর্বশেষ প্রজন্মের প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ। উৎপাদন হবে সাশ্রয়ী মূল্যের বিভিন্ন মডেলের ডেস্কটপ এবং মনিটর। এরই মধ্যে উচ্চ গুণগতমানের পিসিবিএ বা মাদারবোর্ড তৈরি শুরু হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজুদ। ওয়ালটন কম্পিউটার কারখানায় কর্মসংস্থান হচ্ছে এক হাজার লোকের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads