• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

উপাচার্যের কার্যালয়ের দরজার সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা

অন্যান্য

চার দফা দাবি

ঢাবি উপাচার্যের দরজায় আন্দোলনকারীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

প্রক্টরের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে মঙ্গলবার উপাচার্য কার্যালয়ের অন্তত তিনটি ফটক ভেঙে বেলা দেড়টার দিকে উপাচার্যের দরজার সামনের করিডোরে অবস্থান নেন তারা।

গত সপ্তাহ থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করে। পরে মিছিলটি টিএসসি, কলাভবন, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ঘুরে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে আসে।

সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকা শিক্ষার্থীরা এক সময় উপাচার্য কার্যালয়ের প্রধান ফটক ধরে ধাক্কা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে উপাচার্য কার্যালয়ে প্রধান ফটকের দুটি তালা ভেঙে কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঢুকে যায় তারা।

বেলা ১টার দিকে উপাচার্য কার্যালয় ভবনের কলাপসিবল গেটও ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে দেড়টার দিকে ভবনের ভেতরের আরেকটি গেইট ভেঙে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন তারা।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখা শিক্ষার্থীদের কয়েকজন জানিয়েছেন। এ সময় নিজ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে গত ১৫ জানুয়ারির আন্দোলন কর্মসূচিতে ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘নিপীড়নের’ প্রতিবাদে আন্দোলনের সামনে আসে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা।

মারধর ও ছাত্রী নিপীড়নে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কারের দাবিতে গত ১৭ জানুয়ারি প্রক্টর কার্যালয়ও ঘেরাও করে তারা। ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ‘হামলার’ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার দাবিও রয়েছে শিক্ষার্থীদের।

প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাওয়ের সময় ফটক ভাংচুরের ঘটনায় পরদিন ১৮ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ৫০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা দায়ের করে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে ওইদিন মধ্যরাতে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেয়।

মঙ্গলবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের আল্টিমেটামের বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করেছেন তারা।

এদিকে নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাতে সাক্ষ্য দিতে ৩ শিক্ষার্থীকে ডেকেছিল; কিন্তু তারা আসেননি।

রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদাকে আহ্বায়ক করে তৈরি তিন সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছে সহকারী প্রক্টর আবু হোসেন মো. আহসান এবং সদস্য চন্দ্রনাথ পোদ্দার।

কমিটির সদস্য সচিব আবু হোসেন মো. আহসান জানান, আবু রায়হান খান, উম্মে হাবিবা বেনজির ও আশিক নামে তিনজন শিক্ষার্থীকে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে আজ সকাল ১১টায় ডাকা হয়।

ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির জানান, তাদেরকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু তারা প্রত্যক্ষদর্শী নন। তারা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তদন্ত কমিটিতে থাকার দাবি জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads