• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ফাইল ছবি

রাজনীতি

‘মামলা চালাতেই জীবন পার’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যে সব মামলা করা হয়েছে তা চালাতেই তাদের সারা জীবন শেষ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে এবং নির্বাচনের বাইরে রাখতে সরকার নীল নকশা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘একটা ব্লু প্রিন্ট, একটা নীল নকশা, সেই নীল নকশা কী? বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি যেন আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা।’

তিনি বলেন, ‘আরো নীল নকশা হচ্ছে। নতুন আদালত সৃষ্টি করা হচ্ছে। একটা মামলাকে ভেঙে দুইটা করা হয়েছে। বিস্ফোরকের জন্য একটা মামলা, ভাংচুরের জন্য আরেকটা মামলা। অর্থাৎ বিরোধীদল যারা করবে তাদেরকে এই মামলা করতে করতেই সারাটা জীবন চলে যাবে, মৃত্যুবরণ করতে হবে তো এই মামলা ফেইস করতে করতে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ভয়াবহ নির্যাতনের অবস্থা আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে। উদ্দেশ্য একটাই- তারা দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায় এবং আগামী নির্বাচনে তারা আবার জয়ী হতে চায়।’

খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলায়’সাজা দেওয়া এবং তাকে পুরান ঢাকার ‘পরিত্যক্ত’কারাগারে রাখাকে ‘চরমতম নির্যাতন’ বলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি, ‘আমরা শুনেছি, অতীতে মধ্যযুগে যে ধরনের কারা নির্যাতন করা হত, আমরা শুনেছি ব্রিটিশ ঔপনিবেসিক আমলে স্বদেশী আন্দোলনে যারা ছিলেন, দেশের জন্য যারা লড়াই করেছিলেন, তাদেরকে যেভাবে কারাগারে নিক্ষেপ করা হত, যে নির্যাতন করা হত, তার চেয়ে কোনো অংশে কম যন্ত্রণা ও নির্যাতন আজকে এই মহান নেত্রীকে করা হচ্ছে না …. ।’

খালেদার মুক্তির দাবিতে দলীয় কর্মসূচি করতে না দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমরা যে কর্মসূচিগুলো দিচ্ছি, সেই কর্মসূচিগুলো একেবারেই শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। কিন্তু সরকার সেগুলো করতে দিচ্ছে না। ঢাকায় গতকাল আমাদের ৪টা পর্যন্ত যে অনশনের কর্মসূচি ছিলে, সেটাকে সংকুচিত করে একটার মধ্যে তারা (পুলিশ) শেষ করতে বলেছে। এর মধ্যেও আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে। অর্থাৎ নো স্পেস, কোনো স্পেসই দেওয়া হচ্ছে না। এই স্পেস না দেওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বড় লক্ষণ যে, তারা কোনো নকশা তৈরি করেছেন এবং কিভাবে যেতে চান।’

সারাদেশে নাশকতার কথা বলে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে দাবি বিএনপি মহাসচিবের।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরবত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads