একদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টের হিসাব নেওয়া এবং এর বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শফিউল বারী বাবু ও ইয়াসীন আলী মুক্তি পরিষদ’-এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১৭ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ ডাচ-বাংলা ব্যাংকে আমি বা আমার পরিবারের কারো অ্যাকাউন্টই নেই।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা অ্যাকাউন্ট খোঁজাখুঁজি করছেন, তাদের এক অ্যাকাউন্টের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সেই অ্যাকাউন্ট হচ্ছে— বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন আগেরবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তাখন পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে ৫৭ জন সিনিয়র অফিসার মারা গেছেন। সেটার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনো প্রকাশ হয়নি। এটা শেখ হাসিনার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।’
শেয়ারবাজারে লুটপাটের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোশাররফ বলেন, ‘লাখ লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে তাদের টাকা লুট করা হয়েছে। একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে যাদের নাম এসেছে, তাদের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তাদের হাত উনার চেয়ে লম্বা। তাহলে এটা কার হাত? এটাও প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ব্যাংক ও রিজার্ভ লুট করা হয়েছে। গুম, খুন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছে। এসব বিষয়েও শেখ হাসিনার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এসব কাজের জন্যই আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকারকে স্বৈরাচারী সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটার অ্যাকাউন্টও কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নামে খোলা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টের হিসাব জনগণ একদিন নেবে এবং তার বিচারও করবে।’
সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকতউল্লাহ বুলু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।