কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষাকে লোকদেখানো বলে উল্লেখ করেছে চিকিৎসক সমাজ। গতকাল সোমবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিও জানান তারা।
চিকিৎসক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। ডিভিশন দেওয়া হলেও বিছানা-বালিশ ও আসবাবপত্র অত্যন্ত নিম্নমানের। একজন অসুস্থ মানুষ হিসেবে তার খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
তারা বলেন, আগে থেকে বেশ কিছু ক্রনিক রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। নতুন করে তিনি আবার ঘাড়, মেরুদণ্ড ও স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছেন। সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা তার রোগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তারা নতুন করে চিকিৎসা শুরু করেছেন। মামুলি কিছু পরীক্ষা যেমন- রক্ত এবং এক্স-রে করতে দিয়েছেন। এ ধরনের পরীক্ষা দিয়ে একজন বয়স্ক মানুষের রোগ নির্ণয় করা যাবে না। এমআরআই, সিটি স্ক্যান করে দেখতে হবে তার শরীরে কী ধরনের অর্থোপেডিক ও নিউরোলজিক্যাল সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। খালেদা জিয়ার লিভার, কিডনি, ফুসফুস, হাঁটু কী অবস্থায় আছে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
চিকিৎসক সমাজের অভিযোগ, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তার সঙ্গে থাকলেও তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি। অথচ তারাই জানেন, তার কী প্রয়োজন ও কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে। সরকারের এ ধরনের লোকদেখানো মেডিকেল বোর্ড ও চিকিৎসায় গভীর উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সার্জারি অনুষদের সাবেক ডিন ও শিশু সার্জারি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বিএনপিপন্থি ডাক্তারদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. আবদুল মান্নান মিঞা, অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবু, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, অধ্যাপক ডা. একেএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।