• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

ওয়াজেদ মিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। এ উপলক্ষে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ, এমএ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মরহুমের কবরে পুষ্প অর্পণের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত, স্মৃতিচারণা, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।

প্রয়াতের ভাতিজা এবং পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, এদিন সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে লালদীঘির ফতেহপুরে জয়সদনে ওয়াজেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।

বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লালদীঘির ফতেহপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রয়াত আবদুল কাদের মিয়া ও ময়জান নেছার সন্তান ওয়াজেদ মিয়া ‘সুধা মিয়া’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরিজীবন শুরু করেন। পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ পদে থাকাবস্থায় ১৯৯৯ সালে অবসর নেন।

ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত থাকা ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান ওয়াজেদ মিয়া। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তিনি সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads