• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
খুলনাবাসীর সঙ্গে তামাশা করছেন প্রধানমন্ত্রী : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

খুলনাবাসীর সঙ্গে তামাশা করছেন প্রধানমন্ত্রী : রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৮

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে সরকার জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে- এমন অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখন আবার খুলনাবাসীদের নিয়ে তামাশা করছেন খোদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এর আগের দিন রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেসিসির নতুন মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনার মানুষের সমর্থন মিলেছে। এই নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাদের দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে কবে হয়েছে?

এসব বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুলনাবাসীর সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা। অবৈধ ক্ষমতার দৌরাত্ম্যে ভোটারদের অধিকারবঞ্চিত করে এখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন। তিনি বলেন, ভোট চুরির নতুন মডেলের এ নির্বাচনে খুলনা সিটির অর্ধেকেরও বেশি ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। যারা গেছেন তারাও ভোট দিতে পারেননি। এমন এক নির্বাচন হয়েছে যে, নির্বাচনের পর লজ্জায় আজো নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জালভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের তদন্ত দাবি করছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগীরা। যে নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র বাবার সঙ্গে ভোট দিতে পারে, মরা মানুষ ভোট দিতে পারে, সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে লাইন ধরে সিল মারতে পারে- সে নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় এটিই প্রমাণিত হলো যে, ভোট ডাকাতির হুকুমদাতা সরকারের শীর্ষ নেতারা।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে, আগামী নির্বাচনও হবে খুলনা মডেলের। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রমাণ করে তার অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আত্মঘাতী। তিনি বলেন, ইসিতে সরকার পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন। ইসি খুলনায় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে মাত্র। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ‘স্বর্ণালি বাহিনী’ নয় বরং এখন তারা ‘খাঁচায় পোরা তোতা পাখি’। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ না করার কথা বলছেন- এ কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, অথচ সরকারদলীয় একজন এমপি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়, একটানা পনের দিন খুলনায় অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। খুলনার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads