• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
খালেদা কারাগারে নেতারা বিদেশে

চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

খালেদা কারাগারে নেতারা বিদেশে

  • রেজাউল করিম লাবলু
  • প্রকাশিত ২৬ মে ২০১৮

মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় জেলে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নেতাদের একাংশ অসুস্থতার অজুহাতে বিদেশ ঘুরছে। আবার বেশ কিছু নেতা বিদেশে নির্বিঘ্ন জীবনযাপন করছেন। নেতাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীর।

তৃণমূলের এই ক্ষোভের বিষয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশের খবরকে তিনি বলেন, যেসব নেতার বিদেশে অবস্থান তারা আসলে দেশে নিরাপদ বোধ করছেন না। তাছাড়া এরকম নেতার সংখ্যা শতকরা এক ভাগও হবে না। বাকি ৯৯ ভাগ নেতা দেশেই রয়েছেন। তারা জেল খাটছেন। রাজপথে আন্দোলন করছেন। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে দেশে ফিরে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি দেশে নিরাপদ নন। 

তৃণমূলের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়ার কারাবাস তিন মাস ছাড়িয়ে চার মাসে পড়েছে। এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো ৩৫টি মামলা রয়েছে। এসব মামলা আদালতে বিচারাধীন। কবে নাগাদ খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন তাও নিশ্চিত নয়। এমন অবস্থায় বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতা বিদেশে অবস্থান করছেন।

বিদেশে নেতাদের কারা অবস্থান করছেন তাদের বেশ কয়েকজনের নাম বলেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশের খবরকে তারা বলেন, দীর্ঘদিন বিদেশে আছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েলসহ বেশ কিছু নেতা।

সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তিনি চেয়ারপারসনের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

খোকার ঘনিষ্ঠদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তৃণমূল নেতারা বলেন, খোকার মতো অসুস্থ আরো অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

বিএনপির ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম এ কাইয়ুম গুলশানে ইতালীয় নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যা মামলার আসামি। এই মামলায় তার নাম আসার পর থেকে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন।

তবে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে কাইয়ুম বিদেশে অবস্থান করলেও মানসিকভাবে তিনি সার্বক্ষণিক দেশেই রয়েছেন। ফোনে ফোনে দেশের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তার। আন্দোলন-সংগ্রামের নানা নির্দেশনা দিচ্ছেনও তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ইতঃপূর্বে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিএম বাকির হোসেনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। জামিনযোগ্য মামলায় তিনি জামিন পাচ্ছেন না। কারাগারে অসুস্থ হলেও উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। খোদ দলের চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে সরকার এমন কঠোর হলে বাকি নেতাদের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads