• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
যোগ্য দল পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশন (ইসি)

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

নতুন দলের নিবন্ধন

যোগ্য দল পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ জুন ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ছয় ডজনের বেশি আবেদন পড়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। এসব আবেদন কমিশন ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাইও করে দেখেছে। তবে নতুন করে নিবন্ধন দেওয়ার মতো দল খুঁজে পাওয়া কষ্টকর দেখছে কমিশন।

আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তা পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। হয় একজন নেতা আছেন, কোনো অফিস নেই, গঠনতন্ত্র ঠিক নেই।’

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ব্যবস্থা প্রথম চালু হয় ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে। ওই সময় নিবন্ধিত হয় ৩৮টি রাজনৈতিক দল। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পায় আরো দুই দল। এ ছাড়া শর্ত পূরণ না হওয়ায় নিবন্ধন বাতিল হয় দুই দলের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এগুলো নিজস্ব প্রতীক নিয়ে দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারে।

একাদশ সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন চাইলে মোট ৭৬টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ১৯টি আবেদন প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ যায়। ইসির তাগিদের পরও নথিপত্র না দেওয়ায় ঝরে পড়ে আরো ৮টি আবেদন। বাকি ৪৯টি দলের আবেদন পর্যালোচনার কাজ চলে পুরো মে মাস জুড়ে। ইসির নিবন্ধন যাচাই-বাছাই কমিটির চারটি উপকমিটি এসব দলের গঠনতন্ত্র, দলিলপত্র ও আনুষঙ্গিক উপাত্ত যাচাই করে দেখে।

ইসির উপসচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অধিকাংশ দলের কাগজপত্রই ঠিক নেই। আমার ভাগে যে দলগুলো ছিল, তাদের কোনোটিই নিবন্ধনযোগ্য বলে সুপারিশ করতে পারিনি।’ নিবন্ধন কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা ইসির উপসচিব আবদুল হালিম বলেন, ‘আমরা কাজ গুছিয়ে রেখেছি। কমিশনের অনুমোদন পেলেই কয়েকদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের তা জানাতে পারব।’

ইসি সচিবালয়ের নিবন্ধন বাছাই কমিটি ইতোমধ্যে নিবন্ধন অযোগ্য দলগুলোকে পাঠানোর জন্য একটি চিঠির খসড়া তৈরি করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট দল প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ করতে না পারায় নিবন্ধন অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।

আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। ৩০ জুলাই তিন সিটি নির্বাচনের পর থেকে সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে পুরোদমে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads