• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের খাবার খেলেন খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের খাবার খেলেন খালেদা

সাক্ষাৎ পাননি বিএনপি নেতারা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ জুন ২০১৮

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন তার স্বজনরা। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্বজনরা একত্রে বসে ঈদের খাবার খান। স্বজনরা দেখা করতে পারলেও দলীয় নেতাকর্মীরা দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।

গত শনিবার ঈদের দিন দুপুর সোয়া ২টার দিকে কারাগারে যান খালেদা জিয়ার স্বজনরা। তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় কাটিয়ে বিকাল ৪টায় কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। সাক্ষাৎপ্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ভাই সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার ও তার ছেলে শামস এস্কান্দার, শাফিন এস্কান্দার, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক এস্কান্দার, এরিক এস্কান্দার, ভাগ্নি অরনি এস্কান্দার, অনন্যা এস্কান্দার, শাফিয়া ইসলাম, ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, মেহরাব, আল মামুন, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু, তার স্বামী শফিউজ্জামান। সঙ্গে আরো ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের গৃহকর্মী ও গাড়িচালক।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে দলের নেতারা পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে যান খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে। পুলিশের বাধার কারণে কারাফটকের সামনেই পৌঁছতে পারেননি তারা। নেতাদের সঙ্গে কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বাধার মুখে তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করে তারা ফিরে যান।

দলীয় নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার ইব্রাহিম খান সাংবাদিকদের বলেন, যাদের যাওয়ার অনুমতি আছে তারা যাবেন, যাদের নেই, তারা যাবেন না। তারা কাউকে আটকাননি, তবে সেখানে যাতে জনসমাগম না হয়, সেজন্য নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

পরে বিএনপি মহাসচিব সাক্ষাতের আবেদনের অনুলিপি দেখিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিন দিন আগে তারা সাক্ষাতের জন্য আবেদন করেছিলেন। ঈদের দিন বন্দির সঙ্গে দেখা করার নিয়ম আছে। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে আটকে দেয়। জেল গেটের কাছেও ভিড়তে দেয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ সময় সেখানে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, শিরীন সুলতানা, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

পর্যায়ক্রমে আন্দোলন জোরদার হবে -মির্জা ফখরুল : কারাফটকে যাওয়ার আগে শেরে বাংলানগরে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের মধ্যেই আছে। নেত্রী যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলে গেছেন, সেই নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিএনপি প্রত্যেকটি স্তরে জোরদার  করছে। বিএনপি মনে করে, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করতে পারবে। এজন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন পর্যায়ক্রমে জোরদার করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির কাছে এখন মূল চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। তাই বিএনপি দেশনেত্রীকে মুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads